আসমাউল আসিফ, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে পাওনা এক হাজার টাকা নিয়ে দ্বন্দের জেরে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভূক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামপুর উপজেলার বটচর এলাকার পল্লী চিকিৎসক ভূক্তভোগী শেখ মোহাম্মদ মজনু(২৫)। তিনি অভিযোগ করেন, গত এক বছর আগে উপজেলার পোড়ারচর বাজারে তার ঔষধের দোকান থেকে তারই প্রতিবেশী মিন্টু(২৫) এক হাজার টাকার ঔষুধ বাকী নেন। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে পাওনা টাকা চাইলে সে তা দিতে অস্বীকার করে। এর প্রেক্ষিতে মিন্টুর সাথে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ব্যাপারে আপোষ মিমাংসার জন্য পোড়ারচর বাজারে অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেনের চেম্বারে উভয় পক্ষ বসলে আবারো মিন্টুর সাথে হাতাহাতি হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করে মিন্টু। পরবর্তীতে মিন্টু আমার বাবা সুরুজ আলীকে মারধর করে এবং নিজেরা নিজেদের বাড়িতে আগুন দেয় এবং মিন্টুর বাবা তোফাজ্জল (৭০) আমাদের নামে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও চলতি বছরের ২ জুন নিজেরা নিজেদের মাথায় আঘাত করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে গত ১১ জুন মিন্টু বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করে। শেখ মোহাম্মদ মজনু আরও অভিযোগ করেন, এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে সুবিধা করতে না পারায় চলতি বছরের ১৭ জুলাই মধ্য রাতে মিন্টু তার নিজের অসুস্থ পিতা তোফাজ্জলকে হত্যা করে আমার বাড়ীর পিছনে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরের দিন ১৮ জুলাই নিহতের স্ত্রী পানফুল বেগম অজ্ঞাতনামা আসামী করে ইসলামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর নিহতের মেজো ছেলে মোশারফ (২৮) গত ২৫ জুলাই আমাকেসহ আমার ১৫ জন আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত হত্যাসহ ৫টি বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী মজনুর মামা সোলায়মান হোসেন বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।