সেবা ডেস্ক: গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বহুবার সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগও উঠেছিল সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের সাংবাদিকরা আশা করেছিলেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরবে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এ দাবি আরো জোরালো হয়।
কিন্তু গত কয়েকদিনে দেশের দুই শতাধিক সাংবাদিককে কালো তালিকাভুক্ত করা, একাধিক সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনায় ফের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা একগুচ্ছ সাংবাদিককে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি তুলেছেন। এই সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই বৈদেশিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। অনেকেই কলকাতার একাধিক বাংলা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম-সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সংগঠনগুলো। একযোগে আবেদন জানিয়েছিল- ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া, প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান উইমেনস প্রেস ক্লাব, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, প্রেস অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স করেসপন্ডেন্টস। এরপরও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট গৌতম লাহিড়ী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা শান্তিতে এবং স্বাধীনতার সঙ্গে তাদের কাজ করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী। তার কাছে আমাদের আবেদন, সাংবাদিকদের স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে যেন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।