শফিকুল ইসলাম: সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের রৌমারীতেও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অস্থায়ীভাবে কর্মরত নকলনবিশদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুইদিন ব্যাপী কলমবিরতি ও মানববন্ধন পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২১আগষ্ট) রৌমারী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পাণন করা হয়।
নকলনবিশেরা জানান, আইন মন্ত্রনালয়েরর অর্ন্তগত রেজিষ্ট্রেশন বিভাগের আওতায় সমগ্র দেশের মহাগুত্বপূর্ণ জমির স্থায়ী রেকর্ডের কাজ করেন এবং নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ভিন্ন ভিন্ন স্মারকের ভিত্তিতে সরকারি বালাম লেখার কাজে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তাদের স্থায়ী কোন বেতন নেই, সরকারি বালামের প্রতি পাতা হিসেবে ২৪ টাকা হারে সরকারিভাবে পারিশ্রমিক পান। নকলনবিশ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হক বলেন, সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ২৪৫ জন নকলনবিশ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে রৌমারীতে রয়েছি ১৪ জন। এখান থেকে সামান্য কিছু অর্থ পাই। যা দিয়ে কোন মতো সংসার চলে। অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি। আমরা যুগযুগ ধরে নকলনবিশদের চাকরি স্থায়ী করার (স্কেলভুক্ত) নকলনবিশদের চাকরি জাতীয়করণ করার দাবী করে আসছি। মানববন্ধনে বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার (নকলনবিশ) এসোসিয়েশন এর রৌমারী শাখার কর্মরত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, ১৯৫৮ সালে জজকোর্ট, মহামান্য হাইকোর্ট এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগের নকলনবিশদের চাকরি সরকারি করা হলেও রেজিস্ট্রি বিভাগের নকলনবিশদের চাকরি আজ পর্যন্ত সরকারি করা হয়নি। বারবার আশ্বাসের পরেও অদৃশ্য কারণে নকলনবিশদের চাকরি জাতীয়করণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না, যা কখনোই কাম্য নয়। নকল নবিশদের চাকরি স্থায়ী করার সরকারিকরণের আশায় দীর্ঘ দিন অনিশ্চিয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করলেও দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে নিজেদের আর খাপ খাওয়াতে পারছি না। বর্তমান অন্তর্বতিকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ ইউনুস সহ সকলের কাছে নকলনবিশদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য জোরদাবী করছি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নকলনবিশ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রেবেকা খাতুনসহ অন্যান্যরা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।