সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বোন উপজেলা চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ও ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ কামালসহ ৯২ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে।
হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠামইন থানার ওসি আহসান হাবিব। তিনি বলেন, এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ফারহান সিকদার বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। প্রথম মামলায় ৪৭ জনের এবং দ্বিতীয় মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রথম মামলার লিখিত এজাহারের বিবরণে জানা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালানোর খবরে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএনপি অফিসের সামনে আসার পরই বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাল্টা মিছিল বের করে বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরিসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া ওইদিন বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বড় ভাই শাহরিল আলম তপনের পাঁচফোড়ন নামক হোটেলে প্রবেশ করে ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শাহরিল আলম তপনকে মারধর করে ক্যাশ থেকে নগদ তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। দুটি মামলাতেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বোন উপজেলা চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাই অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু ও ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ কামালসহ অজ্ঞাত প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।