জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের বকশীগঞ্জের বহুল আলোচিত দৈনিক মানবজমিন ও ৭১ টিভির সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাহমুদুল আলম বাবু জামিনে মুুক্তি পেয়েছে।
মহামান্য উচ্চ আদালত বাবুর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। ১০ জুলাই বিকেল ৫টায় জামালপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এ সময় সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামী বাবুকে বরণ করতে ৮/১০টি প্রাইভেট কারসহ শতাধিক মোটর সাইকেলের বহর আসে।
সাংবাদিকদের চোখে ফাঁকি দিতে জেলা গেট থেকে বের হবার পরপরই আগে থেকে প্রস্তুত থাকা গাড়িতে ওঠতে দেখা যায়। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। সকাল থেকে বাবু চেয়ারম্যানের লোকজন জামালপুর জেল গেটে অপেক্ষারত বাবু চেয়ারম্যানের লোকজন পরিস্থিতি সামাল দিতে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে দেওয়ানগঞ্জ হয়ে চলে যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ জুন দিবাগত রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটিতে সাংবাদিক নাদিমের উপর হামলা চালিয়ে ইট দিয়ে মাথা ও চোখে আঘাত করে। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান।
ওদিকে নাদিম হত্যার মাস্টার মাইন্ড বাবু চেয়ারম্যান যিনি একটি মিটিংএ নাদিমকে শায়েস্তা করতে ২ মিনিটের কাজ বলেও ধাম্বিকতার রেকর্ড ফাইরাল হয়।
এই ঘটনার পরপরই বাবুসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। এতেই শেষনয়, নাদিমের মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে আসার আগেই হত্যাকারিরা নিহত সাংবাদিক পরিবারের লোকদের নানাভাবে মামলা না করে আপোষরফার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
বিষয়টি সাংবাদিক সমাজে জানাজানি হবার পর দেশে-বিদেশে ক্ষোভ ছড়ায়। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে নিহত পরিবারের দায়েরকৃত মামলাতেই অশুভ শক্তি কলকাঠি নাড়তে থাকে।
এমাতাস্থায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ দেশের সকল সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাদিম হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়।
অবশেষে ১৭ জুন র্যাবের বিশেষ অভিযানে রংপুর থেকে সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাবু চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়।
১৮ জুন গ্রেপ্তারকৃত বাবুসহ অন্যান্যদের স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।