সেবা ডেস্ক: বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকেও গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান খয়রাত আর পরহেজগারির নানা খবর দেখা যায়। এর আগে, গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে আবেদ আলীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, প্রশ্নফাঁসে কত টাকা ইনকাম করেছেন? জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসে যত টাকা কামাই করেছি, সব খরচ করেছি আল্লাহর রাস্তায়। গত ১২ জুন আবদে আলী তার ফেসবুকের এক পোষ্টে লেখেন, আমার জীবনে কোনোদিন অসদুপায় অবলম্বন করিনি। গায়ে খেটে ভাগ্য পরিবর্তন করেছি। প্রশ্নফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত হিসেবে আরো যাদের নাম রয়েছে-পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গির আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই পরস্পর যোগসাজশে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতেন তারা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক ও মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ঢাকার ভেতর তার দুটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ির তথ্যও সামনে এসেছে। জানা গেছে, আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও ছিল তার নিয়মিত ওঠা-বসা। আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনিও বিলাসী জীবনযাপন করতেন।
(ads1)
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।