শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শাহ মোঃ ফরিদ উজ্জামান নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে হক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়।
সে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মন্ডল বাড়ি আকন্দপাড়া গ্রামের শাহাজালাল আকন্দ’র ছেলে।
জানা গেছে দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রৌমারীর সহকারি কমিশনার (ভূমি) এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্টেট রাশেল দিত্ত হক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় শাহ মোঃ ফরিদ উজ্জামান ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রমাণিত হয়। তিনি এর আগেও মোঃ শহিদুল ইসলাম ফরিদ নামের অন্য এক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। পরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্টেট রাশেল দিত্ত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই ভুয়া চিকিৎসককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। রৌমারী উপজেলায় যত্রতত্রে প্রায় এক ডজন ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সেন্টারে বৈধ লাইসেন্স নেই। এসব সেন্টারে প্রায় সময়ে ভুয়া চিকিৎসক দ্বারা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এর আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বৈধ কাগজপত্র না থাকা, প্রশিক্ষণ ছাড়া ল্যাব টেকনিশিয়ান, রোগীদের টেস্টের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে রৌমারী নিরাময় কেন্দ্র, আয়শা, সেবা ও মন্ডল ডায়াগনস্টিক সেস্টারে সিভিল সার্জন কর্তৃক অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও বন্ধ করে দেওয়া হলেও কয়েকদিন পর আবারো প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে পূর্বের ন্যায় চালু করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.শাহাদত হোসেন শিমুল, রৌমারী থানার এসআই ফায়সাল সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেল দিত্ত জানান, সে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে স্বীকার করেছেন। তাই তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।