আবদুল জলিল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: পারিবারিক দ্ব›েদ্বর জেরে ২০ বছরের পুরনো একটি রাস্তায় রাতারাতি খনন করে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম কবর। এর ফলে ওই রাস্তায় লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ করে জোড়া কবর কিভাবে ওই রাস্তার মাঝে হলো এসব নিয়ে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আর এমন ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কুনকুনিয়া সর্দারপাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের মানুষ নিজেদের চলাচলের জন্যে আব্দুর রশিদের বাড়ি হতে নিয়াম আলীর বাড়ি পর্যন্ত ওই কাচা রাস্তাটি তৈরি করেছিলেন।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা গেছে, স¤প্রতি মাদার বাঁশ খেলা নিয়ে হোসেন আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের সাথে আজগর আলীর ছেলে হবিবর রহমানের কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর থেকেই বিভিন্নভাবে রশিদের বাড়ির সেই রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে থাকেন হাবিবুর রহমান। কিন্তু গ্রামবাসির চাপে এতে সফল হতে না পেরে রাস্তা বন্ধ করতে প্রথমে বেড়া দেন এবং পরে ওই রাস্তার উপর কৃত্রিম কবর তৈরি করেন।
এদিকে হঠাৎ করে রাস্তার মাঝে কবর তৈরি দেখে এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চলতে থাকে আলোচনা সমালোচনা।
এরই এক পর্যায়ে এলাকার জনগণ একাট্টা হয়ে কথিত ওই কবরের মাটি খুঁড়ে দেখতে পান সেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি ইট রাখা আছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমানের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক জানান, এটা আমাদের পারিবারিক কবর। কবরের জায়গা একটু এদিক সেদিক হতে পারে। তবে রাস্তাটি পুরোনো না, নতুন হয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, আমরা খবরটি শুনতে পেয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে কবর খুঁড়ে ফেলি। কিন্তু ইট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। পরে দুইপাশ থেকে রাস্তার জায়গা বের করে একটি চিহ্ন দিয়ে এসেছি।
মাইজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন জানান, ম‚লত মাদার খেলাকে কেন্দ্র করে রশিদের সাথে হাবিবের দ্ব›দ্ব। আসলে রাস্তা বন্ধ করতেই হাবিব কবর নাটক সাজিয়েছে। থানা পুলিশও বিষয়টি দেখে গেছে। পরে কথিত কবর সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা দেখে এসেছি। এ বিষয়ে হাবিবকে সতর্ক করা হয়েছে। না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন গেলে অনেক লোকজন জড়ো হন। তারা জানান,শুধুমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতেই হাবিবুর রহমান এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান. এ রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারে যাতায়াতে সমস্যা হবে। তাই রাস্তাটি সচল রাখতে তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।