জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা জিঞ্জিরাম নদীর ওপর ভাসমান সেতুর উদ্বােধন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ ভিডিও কনফারন্সর মাধ্যম এ সেতুর উদ্বােধন করেন। এতে উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকার চারটি গ্রামের পাঁচ হাজার মানুষের চলাচলের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে।
সীমান্ত ঘেষা মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভােগের চিত্র জানতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ সেতুটি নির্মাণ করে দেন।
জানা যায়, রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারচর, চর বােয়ালমারী নামের দুটি গ্রাম। পূর্ব কাউয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে রয়েছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিন পাশে জিঞ্জিরাম নদী অন্যদিকে ভারতের কাঁটাতার বেস্টিত সীমান্ত। গ্রামটিতে প্রায় তিন হাজারের অধিক মানুষের বসবাস।
এ ছাড়াও নদী ও ভারত বেষ্টিত ওই এলাকায় পশ্চিম কাউয়ারচর, ধর্মপুর গ্রামের মানুষের জমি রয়েছে। ফসল চাষাবাদের জন্য তাঁদেরকে প্রতিদিন ওই এলাকায় যেতে হয়। যুগ যুগ ধর সীমান্ত লােকজন প্রাকৃতিক দূর্যােগ মাথায় নিয়ে ঝুঁকির মধ্য নৌকায় পারাপার হয়ে আসছিল।
১২০ফুট দৈর্ঘ্যের এই ভাসমান সেতু গ্রামবাসীর জীবনমান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে আশা
স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ার ফলে বিজিবি সীমান্তে তাঁদের টহল জােরদার করতে পারবে। এত সীমান্ত দিয়ে মাদক ও চােরাচালান কমে আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুলি আখতার বলেন, ছোট ছোট বাচ্চারা নৌকা করে স্কুল যেতো। নৌকা না পেলে সময় মতো স্কুল যেতে পারতো না।এখন পায়ে হেঁটে বাচ্চারা ঠিক মতো স্কুল যেতে পারবে।
মোখলেস মিয়া বলেন, কৃষি পণ্য নিয়ে বাজার যাওয়া অনেক কষ্ট ছিল। রোগী নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হতো। সাময়িক ভাবে ভাসমান সেতু হওয়ায় এই কষ্ট কমবে। আমরা এখানে স্থায়ী একটি সেতু চাই। এতে করে আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ বলেন, প্রত্যন্ত ও সীমান্ত এলাকার মানুষ যেন সরকারের উন্নয়ন বঞ্চিত না হয় সেজন্য ভাসমান সেতু দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে সেখানে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা যায় কিনা সেই বিষয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।