সেবা ডেস্ক: ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতি এই হামলার ফলে তার সমর্থন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক জানিয়েছেন। রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে খুব কম পরিমাণে ব্যবধান দেখা গেছে। তবে এ ঘটনা নভেম্বরের নির্বাচনে একটি পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
জরিপে দেখা গেছে, গত মাসে বাইডেনের দুর্বল বিতর্কের পারফরম্যান্সে ট্রাম্পও কিছুটা উচ্ছ্বসিত। যদিও ভোটারদের মধ্যে ফলাফল তুলনামূলকভাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি এনপিআর/পিবিএস নিউজআওয়ার/মারিস্ট জরিপে দেখা গেছে, বাইডেন ৫০ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। যেখানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ছিল ৪৮ শতাংশ।
এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার পর এখন আর কোনও হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন পেনসিলভানিয়া রাজ্য পুলিশের শীর্ষ এক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্য শুরুর পাঁচ মিনিট পর গুলির শব্দ শোনা যায়।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ফেলেন। এ সময় তার কানে ও মুখের এক পাশে রক্ত দেখা গেছে। মঞ্চ থেকে নামিয়ে গাড়িতে ওঠানোর সময় তাকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশের দিকে তুলতে দেখা যায়।
সিক্রেট সার্ভিস মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট নিরাপদ এবং ঘটনাটি সিক্রেট সার্ভিস তদন্ত করছে। ডোনাল্ড ট্রামের প্রচার দল জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট এখন ‘ভালো আছেন’।
ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: এফবিআই
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক সাংবাদিকদের বলেন, আজ সন্ধ্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাকে আমরা হত্যাচেষ্টাই বলছি। ওই স্থানটি ‘অ্যাকটিভ ক্রাইম সিন’ অর্থাৎ এখনো নিরাপদ নয়।
রোজেক সাংবাদিকদের আরো বলেন, যে ব্যক্তি এই হামলা চালিয়েছে তাকে শনাক্ত এবং হামলার উদ্দেশ্য কী তা জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে অনুসন্ধানী এজেন্টদের মোতায়েন করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণের টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীকে শনাক্ত করার খুব কাছাকাছি তারা। ঘটনাস্থলে বোমা-ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারীকে শনাক্ত করার খুব কাছাকাছি তারা। ঘটনাস্থলে বোমা-ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা, হামলাকারীর পরিচয় যা জানা গেল
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এফবিআই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রোববার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
স্থানীয় সময় শনিবার পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। হামলার পরপরই অভিযুক্ত ঐ হামলাকারী মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) আনুষ্ঠানিকভাবে হামলাকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস বলে জানিয়েছে।
পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী এ যুবক সমাবেশের মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ দূরে একটি ভবনের ছাদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে আটটি গুলি ছুড়েন।
মূলত ২০ বছর বয়সী এ বন্দুকধারীই শনিবার পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টায় গুলি করে আহত করে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক সাংবাদিকদের বলেন, আজ সন্ধ্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাকে আমরা হত্যাচেষ্টাই বলছি।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন ট্রাম্প
হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়ি ফিরেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। এরপরই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প হাসপাতাল থেকে নিউ জার্সির বাড়িতে ফিরেছেন।
এদিকে হামলার পর থেকেই ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। তবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
রিপাবলিকান প্রচারণা শিবির শনিবার ওই হামলার পর জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভালো আছেন এবং একটি হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। গুলিতে আহত হওয়ার পর পরই নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নেয়া হয়।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এখন ভালো আছেন।
হামলার ঘটনায় কানে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। আকস্মিক ওই হামলার বিষয়ে ট্রাম্প জানান, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার কানে গুলি করা হয়েছে। তার মনে হচ্ছিল কান ঘেঁষে একটি বুলেট চলে গেল।
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পরপরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরো দু’জন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটে গেছে। আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই এবং মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে কী ঘটেছে।
পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।
মার্কিন ইতিহাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট
সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারকালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে মঞ্চে বক্তব্য দেয়ার সময় আততায়ীর গুলি তার কান ছুঁয়ে যায়। তবে গুরুতর আহত হননি তিনি, এখন সুস্থ আছেন। সমাবেশে বন্দুকধারীর হামলায় দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অতীতের হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
হামলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দেশটির সিক্রেট সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় অন্তত একজন বন্দুকধারী ও প্রচারসভায় উপস্থিত একজন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। এছাড়া আরো দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সিবিএস পিটসবার্গ স্টেশন কেডিকেএ-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাটলার কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুটি সূত্র সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, সিক্রেট সার্ভিসের এক স্নাইপার বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে। উপস্থিত আরো দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অতীতে যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ওপর হামলা হয়েছে
প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রো জ্যাকসন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রো জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। একটি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তিনি হত্যাচেষ্টার শিকার হন। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে দু’বার গুলি ছোড়া হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।
থিওডোর রুজভেল্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। ১৯১২ সালে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এক সেলুনের কর্মী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। হামলার পর রুজভেল্ট বলেন, তার সঙ্গে থাকা ৫০ পৃষ্ঠার বক্তৃতার অনুলিপি বুলেটটিকে ধীরগতির করে দেয়। এটি তাকে নিজের শরীরে আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছিল। হামলার পরও সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।
রোনাল্ড রিগান
১৯৮১ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে হিলটনের বাইরে একটি বক্তৃতা দেওয়ার পরে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তার প্রেস সেক্রেটারি জেমস ব্র্যাডি তার চেয়ে গুরুতর আহত হন। তার হামলাকারীকে চার দশকের বেশি সময় একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আটক রাখা হয়। ২০২২ সালে তিনি আদালতের তত্ত্বাবধানে মুক্তি পান।
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৩৩ সালে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। এ সময় তিনি হামলা থেকে কোনোক্রমে রক্ষা পেলেও শিকাগোর মেয়র আন্তন সেরমাক গুলিতে নিহত হন।
হ্যারি এস ট্রুম্যান
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের পর প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হ্যারি এস ট্রুম্যান। ১৯৫০ সালে তিনিও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। পুয়ের্তো রিকান জাতীয়তাবাদীরা তাকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালিয়েছিল।
জর্জ ওয়ালেস
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের চার বার নির্বাচিত গভর্নর ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। এ সময় ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় তাকে গুলি করা হয়। এর ফলে তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন।
জেরাল্ড ফোর্ড
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড ১৯৭৫ সালের দুবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে হামলার আগেই একবার তা রুখে দেওয়া হয়। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর সান ফ্রান্সিসকোতেও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে সেবার এক পথচারীর কারণে তিনি বেঁচে যান।
বারাক ওবামা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও হত্যাচেষ্টা করা হয়। ২০১১ সালে হোয়াইট হাউসে তিনি হত্যা চেষ্টার শিকার হন।
অতীতে যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্টরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন
আব্রাহাম লিংকন
আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। ১৮৬৫ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে ফোর্ডস থিয়েটারে মাথার পিছনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল আব্রাহাম লিংকনকে। সন্দেহভাজন নাটকের একজন অভিনেতা উইলকস বুথ ঘটনাস্থল থেকে তখন পালিয়ে গেলেও কয়েক সপ্তাহ পরে ভার্জিনিয়ায় ধরা পড়লে তাকে গুলি করা হয়।
জেমস গারফিল্ড
১৮৮১ সালের জুলাই মাসে ওয়াশিংটন, ডিসির একটি ট্রেন স্টেশনে গুলিবিদ্ধ হন জেমস গারফিল্ড। আহত অবস্থায় কয়েক মাস পরে, সেপ্টেম্বরে নিউ জার্সিতে মারা যান তিনি। গারফিল্ডকে গুলি করে তারই সাবেক এক সমর্থক চার্লস গুইটাউ। গারফিল্ডের প্রশাসনে চাকরি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করেন তিনি। পরবর্তীতে গুইটাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়।
উইলিয়াম ম্যাককিনলি
১৯০১ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের বাফেলোতে লিওন সিজলগোস নামক একজন নৈরাজ্যবাদীর দ্বারা গুলির শিকার হন উইলিয়াম ম্যাককিনলি। আহত অবস্থায় কিছুদিন পর মারাযান তিনি।
জন এফ কেনেডি
১৯৬৩ সালের নভেম্বরে ডালাসে স্নাইপার লি হার্ভে অসওয়াল্ডের হাতে নিহত হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। গুলি করার কিছুদিন পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অসওয়াল্ডকে। ডালাস থানার বেসমেন্টে জ্যাক রুবির হাতে হত্যার শিকার হন অসওয়াল্ড।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট আজীবন সিক্রেট সার্ভিসের সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।