সেবা ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মাত্রা ততই বাড়ছে। বিশেষ করে মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ইসরায়েলি সেনাদের হামলাকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক সংঘাতের শঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মিশর ইতোমধ্যে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একইসাথে, ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত থেকেও পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাওয়া গেছে, যা ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর কলকাঠি নাড়ার ফলাফল।
গাজার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সাথে তাল মিলিয়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাইম কাসেম জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি উত্তর সীমান্তে যুদ্ধ করতে চায় তবে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা প্রস্তুত রয়েছে এবং ইসরায়েলকে বিজয়ের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। হিজবুল্লাহর মতে, লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন তেলআবিবের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে এবং ইসরায়েলি জনগণের জন্য বাস্তুচ্যুতির কারণ হবে।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে হিজবুল্লাহ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দুই বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডের লেবানন ফ্রন্টও। তারা জানায়, গাজার প্রতি পূর্ণ সমর্থনের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযানের জন্য তারা প্রস্তুত।
২০০৬ সালের হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে তিক্ততা আরও বেড়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর উভয় সীমান্তে ক্রমাগত বোমা বর্ষণের ফলে হাজার হাজার ইসরায়েলি ও লেবানিজ নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করেন, উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত এই মুহূর্তে কোনো টেকসই সমাধান নিয়ে আসবে না। সামরিক বিশ্লেষকরা ইরানের ইন্ধনের বিষয়টিকে এ সংঘাতের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।