যে কারণে মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.)

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: ইব্রাহিম (সা.), পিতার নাম আজর। ইব্রাহিম (সা.) এর স্ত্রীর নাম হাজেরা ও সারাহ। ইব্রাহিম (সা.) এর ২ পুত্র ছিলেন: ইসমাইল ও ইসহাক। 

যে কারণে মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.)



ইব্রাহিম (আ.) ছিলেন নূহ (আ.) এর ১১তম অধস্তন পুরুষ। নূহ (আ.) এর প্রায় ২ হাজার বছর পর তিনি পৃথিবীতে আসেন। তাকে বলা হয় আবুল আম্বিয়া তথা নবীদের আদি পিতা। ৭ জন নবী ছাড়া সব নবী-রাসূল তার বংশ থেকে এসেছেন। তিনি মুসলমানদের জাতির পিতা। মুসলিম নামটি তিনি প্রথম রাখেন।

ইব্রাহিম (আ.) প্রভুপ্রেমে ত্যাগ-তিতিক্ষার অনন্য নজির স্থাপন করে গেছেন। আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্য ছিল শর্তহীন। যে কারণে তার প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য কোরবানি করতেও দ্বিধাবোধ করেননি।

আল্লাহ তাআলা তার প্রশংসায় বলেছেন, إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِّلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ شَاكِرًا لِّأَنْعُمِهِ ۚ اجْتَبَاهُ وَهَدَاهُ إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ

‘নিশ্চয়ই ইব্রাহিম ছিলেন সব গুণের সমাবেশকারী, সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহর অনুগত এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন তার অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী। আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং পরিচালিত করেছিলেন সরল পথে’। (সূরা: নাহল, আয়াত: ১২০-১২১)

তার ছেলে ইসহাক (আ.) ও তার নাতি  ইয়াকুব (আ.) এর বংশধর ‘বনী ইসরাইল’ নামে পরিচিত। তার বংসেই জন্ম নেয় বনী ইসরাইলের সব নবী এবং তার অপর ছেলে ইসমাইল (আ.) এর বংশে জন্ম নেন বিশ্ব ও শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন আরবের কুরাইশ বংশে। তারা ছিল ইসমাঈল (আ.) এর বংশধর। সেই হিসেবে ইব্রাহিম (আ.) হলেন আরববাসীর পিতা। ইসলামের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু আরব বংশের তাই ইব্রাহিম (আ.) তারও পিতা ছিলেন। এভাবে ইব্রাহিম (আ.) সব উম্মতে মুহাম্মাদিরও পিতা। উম্মতে মোহাম্মদিকে তিনিই মুসলিম হিসেবে নামকরণ করেছেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, قوله تعالي  ملة ابيكم ابراهيم .هو سمكم المسلمين 

অর্থ: ‘তোমাদের জাতির পিতা ইব্রাহিম, তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম’। (সূরা: হাজ্জ, আয়াত: ৭৮) এই আয়াত থেকেই প্রমাণিত তিনি মুসলিম জাতির পিতা।

উক্ত আয়াতের তাফসিরে মুফাস্সিগণ বলেন, ইব্রাহিম (আ.) আরবদের বংশগত পিতৃপুরুষ ছিলেন। অর্থাৎ আরবদের বংশ পরম্পরা ইব্রাহিম (আ.) পর্যন্ত গিয়ে মিলিত হয়েছে। কিন্তু মর্যাদার দিক দিয়ে তিনি সমগ্র মুসলিম বিশ্বের পিতার আসনে আসীন। অর্থাৎ তিনি যদিও বংশ পরম্পরায় সব মুসলিমের পিতা নন কিন্তু সম্মানের দিক দিয়ে সবার নিকট পিতৃতুল্য।

তাফসিরে কুরতুবীতে এই আয়াতের ব্যাখ্যা এসেছে এভাবে, ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম সমগ্র আরব জাতীর পিতা। আর কোনো কোনো মুফাসসির বলেন, ‘সব মুসলিমকে উদ্দেশ্য করেই তাকে ‘পিতা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে যদিও সব মুসলিম তার সন্তান নয়। এর কারণ হলো, মুসলিমদের নিকট ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর মর্যাদা পুত্রের নিকট পিতার মর্যাদা সমতুল্য’। (তাফসীরে কুরতুবী)

(ads1)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top