সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে মোট ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, যার মধ্যে ২০টিতে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। বাকী ৫টি পরিত্যক্ত এবং ৪টির উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই তথ্য জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে ১১টি কূপের খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, যা দৈনিক ১২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনে সহায়তা করছে।
এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩৮০০-৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট, যার বিপরীতে দেশীয় উৎপাদন ও এলএনজি আমদানি করে ৩০০০-৩১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকায় পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল এবং বিদ্যুৎ ও সার খাতে অগ্রাধিকার বিবেচনায় গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ৩১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা এবং এলএনজি খাতে সরকার সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। বিগত অর্থবছরগুলোর হিসাব অনুযায়ী ভর্তুকির পরিমাণ উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ১৯৯৯-২০০০ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ক্রমাগত লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিল। তবে, ২০১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি তেলে কোনো ভর্তুকি দিতে হয়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিপিসি ২৭০৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লোকসান দেয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।