হারুন ইসলাম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই দিন থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর ও বগারচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী নদী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বন্যার পদধ্বনী দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর গাজীরপাড়া, কতুবের চর, শেকপাড়া, মদনের চর, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী, আইরমারী , তালতলা গ্রাম , মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর, চিনারচর, পূর্ব কলকিহারা, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, মাইছানিরচর ও মাদারেরচর এলাকার নি¤œাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আইরমারী খান পাড়া, কতুবের চর, বাংগালপাড়া, পূর্ব কলকিহারা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কুতুবের চর জামে মসজিদ , বসত ভিটা , ফসলী জমি , গ্রামীণ রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কুতুবের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় বিলীন হতে পারে এই বিদ্যালয়টি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান জানান, কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কুতুবের চর গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার পরিবার গুলোকে সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত জানান, কুতুবের চর গ্রামে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পাঁচ শত জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আজ কালের মধ্যেই ভাঙন কবলিত জায়গায় জিও ব্যাগ গুলো ফেলা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।