সেবা ডেস্ক: রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, ২০৪৫ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের মাস্টার প্ল্যানের অধীনে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকার ২৩০টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে লাকসাম/কুমিল্লা পর্যন্ত কার্ডলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ: রেলপথ মন্ত্রীর ঘোষণা |
সোমবার (১০ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকল্পের বিস্তারিত
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাব-স্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইন প্রকল্পের কাজ চলছে। এর জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টুমাস তার্কিশ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানির সঙ্গে গত ১৬ জুলাই চুক্তি হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির মাঠ পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। জ্বালানি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহায়ক শক্তি ইউনিট (এপিইউ) সম্বলিত ৪০টি লোকোমোটিভ সংযুক্ত করা হবে।
ভবিষ্যৎ প্রকল্প
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা থেকে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
রেলভূমি বেদখল
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানান, বর্তমানে দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬ হাজার ৮৪০ দশমিক ৬১ একর জমি বেদখলে রয়েছে। এর মধ্যে পাকশিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৫ দশমিক ১২ একর, লালমনিরহাটে ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ১০, চট্টগ্রামে ২১৬ দশমিক ৮৯ এবং ঢাকায় ১২০ দশমিক ৫০ একর ভূমি বেদখলে রয়েছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে বেদখলকৃত রেলভূমি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এবং টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।