সেবা ডেস্ক: কোরবানির সময় সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য সালাত আদায় করুন এবং কোরবানি করুন’ (সুরা কাউসার, আয়াত ২)।
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ জন্তু জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তারই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও” (সুরা হজ:৩৪)।
উত্তম হলো, কোরবানির জন্য মোটা-তাজা ও ত্রুটিমুক্ত পশু নির্বাচন করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বাস্থ্যবান পশু দিয়ে কোরবানি করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) যখন কোরবানি করতেন, তখন তিনি দুটি বড় মোটাতাজা, শিংওয়ালা, সুন্দর রঙের খাসি ক্রয় করতেন (ইবনে মাজাহ ৩১১৩)।
তবে কিছু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও কোরবানির পশু গ্রহণযোগ্য হতে পারে। এসব ত্রুটি নিম্নরূপ:
- পশু পাগল হলেও যদি তা ঘাস ও পানি ঠিকমতো খায়।
- লেজ বা কানের কিছু অংশ কাটা থাকলেও যদি বেশিরভাগ অংশ থাকে।
- জন্মগতভাবে শিং না থাকা।
- শিং ভাঙা থাকলেও।
- কানের আকার ছোট হলেও।
- একটি পা ভাঙা থাকলেও, যদি তিন পায়ে চলতে পারে।
- চর্মরোগ থাকলেও।
- কিছু দাঁত না থাকলেও, যদি বেশিরভাগ দাঁত থাকে।
- স্বভাবগতভাবে এক অণ্ডকোষবিশিষ্ট হলে।
- বয়োবৃদ্ধ হয়ে বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম হলে।
- পুরুষাঙ্গ কেটে যাওয়ার কারণে সঙ্গমে অক্ষম হলেও।
তবে, উত্তম হলো ত্রুটিমুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করা, কারণ ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করা অনুচিত।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।