সেবা ডেস্ক: আওয়ামী লীগ, উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল, এবার প্লাটিনাম জুবিলি পালন করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছে। ৭৫ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করে টানা চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। বাঙালি জাতির মুক্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দলটি আজও অপ্রতিরোধ্য।
আওয়ামী লীগ, উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল, এবার প্লাটিনাম জুবিলি পালন করছে। দলের প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর, ৫০ বছর এবং এবার ৭৫ বছর পূর্তির সময়ও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকার থাকতে ১৯৭৪ সালে দলের প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী পালন করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে সুবর্ণজয়ন্তী এবং এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্লাটিনাম জুবিলি পালন করা হচ্ছে।
(ads1)
দেশের গড় আয়ু ৭২ বছর হলেও, আওয়ামী লীগ পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, সামরিক স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ, প্রতিটি অর্জনের সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী একটিই দল, তা হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ‘বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-বাংলাদেশ’ এই তিনটি নাম ইতিহাসে অবিনশ্বর। আওয়ামী লীগ মানেই দেশের স্বাধীনতা, স্বাধীন মানচিত্র, স্বাধীন পতাকা। গত সাড়ে সাত দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল।
আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ধারা। দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশিরভাগ সময় লড়াই-সংগ্রামে কাটিয়েছে। ‘রোজগার্ডেন থেকে গণভবন’ ৭৫ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ সব ক্ষেত্রেই এই দলটির নেতৃত্বে বাঙালি জাতি এগিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি। অতীতের মতো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত দলটি পেয়েছে সুরম্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনা করছে দলটি।
(ads2)
উন্নয়ন ও সাফল্যে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করেছে আওয়ামী লীগ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে দলটি।
আওয়ামী লীগের জন্ম মোটেই সুখকর ছিল না। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন স্বামীবাগের রোজ গার্ডেনে নতুন দল গঠন করা হয়। প্রথম সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক।
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ দশ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিচ্ছে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।