লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর থেকে: ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিশুরা আমাদের নিকট থেকেই শিখবে। আমরা শিশুদের জন্য কী করছি-এটা আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে।আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।
বুধবার(১৫ মে) ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতা একটি শিখন প্রক্রিয়া। প্রতিযোগিতা হারজিতের বিষয় নয়, বরং এটি শেখার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির সুযোগ ঘটে থাকে। এটি একজন মানুষকে দক্ষ করে তোলে।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের এই শিশু-কিশোরই আগামীদিনে জাতির কর্ণধার। তারাই দেশকে নেতৃত্ব দিবে, জাতিকে এগিয়ে নিবে। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিবে তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
আগামী দিনের যে পৃথিবী, সেই পৃথিবীর সাথে সমান তালে তারাও যেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে, সেভাবেই তাদেরকে দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়নতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটাতে হবে।
প্রতিযোগীদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের কৌশল রপ্ত করতে হবে। যে বিষয়ে প্রতিযোগিতায় তুমি অংশ নিতে যাচ্ছো সেই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে।
নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। মন্ত্রী শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়নতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়েখ আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দী, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আবদুর রশিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমদ প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ক্বিরাত, হামদ, নাত, আযান, আবৃত্তি, বক্তৃতা, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ৬০ জন প্রতিযোগীদের হাতে মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতাটি উপজেলা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়ে থাকে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।