নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে আগাপুর ও শেখের মারিয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পৃথক পরিবারে হামলার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ হেফাজতে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল শনিবার নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের হাজী ছহির উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৫০), তার ছেলে মাসুদ (২৩), ভাটরা ইউনিয়নের শেখের মারিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৯)। এরমধ্যে নুর মোহাম্মদ অসুস্থ থাকায় তাকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার আগাপুর এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখলে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন একরাম হোসেন (৫০) ও তার ভাই মাহাবুর মিয়া (৪৮)। এ ঘটনায় শুক্রবার চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন আহত একরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আগাপুর মৌজার ১৫২ দাগের ৯ শতক জমি মাহাবুর দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করছেন। ওই জমি জোরপূর্বক দখল করতে বেড়া দিচ্ছিলেন মুনছুরসহ কয়েকজন। তাদেরকে বাধা দিতে গেলে মাহাবুর ও তার ভাই একরামের ওপর প্রতিপক্ষরা হামলা করে।
মারপিটের সময় লোহার রডের আঘাত ও ধারালো হাসুয়ার কোপ দুই ভাইয়ের মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একইদিন ভাটরা ইউনিয়নের শেখের মারিয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে বসতবাড়িতে ঢুকে হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল মজিদ (৪৫) ও তার ভাই ইব্রাহিম মমিনকে (২৮) বগুড়ার হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরমধ্যে ইব্রাহিম মমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন আহত আব্দুল মজিদের ছেলে রুহুল আমিন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।