সেবা ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ইসরাইলে ইরানের হামলার প্রেক্ষাপটে আগামী দিনগুলোতে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানের তেল রপ্তানির সক্ষমতা কমানোর চেষ্টা নেওয়া হবে বলে তিনি মঙ্গলবার সতর্ক করেন।
ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়েলেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করাসহ আমরা আগামী দিনগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে বাড়তি নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নেব বলে আশা করছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনায় সন্ত্রাসে ইরানের অর্থায়ন ব্যাহত করার সব বিকল্প পন্থাই টেবিলে আছে বলে জানান ইয়েলেন।
তিনি বলেন, ইরানের তেল রপ্তানির ক্ষমতা কমিয়ে তাদের অস্থিতিশীল আচরণের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা এর আগেও করেছে মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তারপরও ইরান কিছু তেল রপ্তানি করছে জানিয়ে ইয়েলেন বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের হয়তো আরো কিছু করার আছে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহান্তে ইসরাইলে ইরানের হামলা এবং গাজা, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে ইরানের অর্থায়ন মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইরান যাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, প্রক্সি গ্রুপগুলোকে অর্থায়ন করতে না পারে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন-সহায়তা দিতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগাচ্ছে, বলেন ইয়েলেন।
তিনি জানান, বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় ইরানের শাসকগোষ্ঠী ও এর প্রক্সিদের সন্ত্রাসে অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত ৫০০’রও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চিহ্নিত করেছে।
এর আওতায় আছে, ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ফিলিস্তিনের হামাস, ইয়েমেনের হুতি, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইরাকের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে ইরানের অর্থায়নের বিষয়টি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।