শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবীতে দু’গ্রæপের উপজেলা পরিষদ ঘেড়াও, দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন এলাকাবাসি।
এ নিয়ে ৩ দিন অতিবাহিত হলেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুদ্ধ জনতা।
এদিকে মঙ্গলবার ভোটকেন্দ্রটি বহাল রাখার দাবীতে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ ঘেড়াও, মানববন্ধন সহ ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তর বরাবর গণস্বাক্ষরিত এক স্বারকলিপি প্রদান করেন। এর আগে অপর একটি গ্রæপ জন্তিরকান্দা গ্রামবাসি একই ভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।
গত ১৫ বছর থেকে বন্দবেড় এফতেদায়ী মাদ্রাসাটি ভোটকেন্দ্র হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে প্রশাসন। সকল প্রকার নির্বাচনের ভোট গ্রহন সুনামের সহিত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল উদেশ্য প্রণোদিত ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে এফতেদায়ী মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রটি স্থানান্তর করে ৭ নং ওয়ার্ডের বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তর করা হয়। এতে জন্দিরকান্দা র্পর্বপাড়া, জন্দিরকান্দা ও বন্দবেড় গ্রামের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বন্দবেড় গ্রামের সাথেই হচ্ছে এফতেদায়ী মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রটি। এর থেকে আধা কিলোমিটার দুরে রয়েছে জন্তিরকান্দা গ্রামটি। তবে বর্তমান ভোটকেন্দ্র বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বন্দবেড় ও জন্তিরকান্দা গ্রাম দুটি প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
এতদুর রাস্তা পায়ে হেটে নতুন ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভোটারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বন্দবেড় গ্রামবাসিরা বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রটি পরিবর্তন করে পূর্বের এফতেদায়ী মাদ্রাসায় বহাল রাখার দাবী জানান। অপর দিকে জন্তিরকান্দা গ্রামবাসি চাইছেন বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করে জন্তিরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার দাবী জানান। তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে যাবেন না বলেও হুশিয়ারী দেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসির দুইটি গ্রæপে বিভক্ত হয়েছে এবং দুপক্ষেই স্বারকলিপি দিয়েছেন। তাদের দাবীর বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাস সাঈদুল আরীফ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি খোজ খবর নিচ্ছি ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাহা আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষেকে জানিয়েছি। তারপরেও খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।