সেবা ডেস্ক: এর আগেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি। এবারেও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। খলনায়ক ডিপজলের পর এবার মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধেও পাওয়া গেল অর্থ লেনদেনের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনের আগের রাতে ডেইলি বাংলাদেশের হাতে এসেছে নিপুণ আক্তারের অর্থ দেওয়া সংক্রান্ত দুটি অডিও ক্লিপ।
শিল্পী সমিতির সদস্য আঁখি ও নাহারকে অডিও ক্লিপে বলতে শোনা যায়, ড্যানি ভাই এফডিসিতে ডেকে আমাদের ঘোরাচ্ছে। হুট করে নিপুণ আপা আসে ৭ নম্বর ফ্লোরের সামনে। সে এসে আমাকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছে ২৭ জনের জন্য।
অপর অডিও ক্লিপে শোনা যায়, নিপুণ বাসার নিচে এসে নামতে বলছে- আমি কিছু জানি না। গেলে ২ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। আমি কিছুই জানি না।
এর আগে, ডিপজলের বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ দেন মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেল সমর্থিত অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা ও প্রযোজক খরসেদ আলম খসরু বলেন, সাদিয়া মির্জা নামে ঐ প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি।
সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।
এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারো প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।