সেবা ডেস্ক: গ্রামাঞ্চলে সচরাচর বাড়ির পাশে জন্মায় ঘেটু গাছ। ঘেটু গাছ প্রায় সবারই পরিচিত একটি গাছ। ঘেটু গাছের ফুল নিজে নিজেই নীরবে সেীন্দর্য্ বিলেয়ে যায়।
ঘেটু (Glory Bower) গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Clerondendron viscosum। এটি গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ।
ঘেটু গাছের শাখা প্রশাখা বেশি হয় না। এই গাছ সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। আবার মাটি ভালো হলে ও অনুকূল পরিবেশ থাকলে প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
ঘেটু মূলত গ্রামবাংলার অবহেলিত ফুল গাছ। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ঘেটু ফুলের মধু সংগ্রহ করে। ফুল দেখতে সাদা। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে লালচে বেগুনি রঙের মিশেল আছে। ফলের ব্যস আধা ইঞ্চির কাছাকাছি হয়ে থাকে। তবে ফল চ্যাপ্টা ধরনের এবং দেখতে বেশ কালো।
শীতকালের শেষদিকে এই গাছের ফুল হয় এবং গরমকালে তা থেকে ফল হয়। বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে রাস্তারপাশে পতিত ভূমি ও জঙ্গলে প্রচুর ঘেটুর গাছ দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে একে ভাঁট বলে থাকে।
ঘেটু তিক্ত, রসযুক্ত, বলকারক, কামোদ্দীপক এবং ব্যথা বেদনানাশক। এই গাছ বাংলাদেশসহ ভারত ও মায়ানমারে জন্মে। এই গাছের লতা, ফুল এবং মূলের ঔষধি ব্যবহার রয়েছে।
ওষধি ব্যবহার
- ঘেটু পাতার রস গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকেল সেবন করলে ম্যালেরিয়া রোগ ভালো হয়।
- যেকোনো ধরনের চর্মরোগ হলে ঘেটু পাতার রস করে ৩ থেকে ৪ দিন চর্মরোগ আক্রান্ত স্থানে লাগালে চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
- বিছে কামড়ালে ঘেটু পাতা কেটে হুল ফোটানো স্থানে লাগিয়ে দিলে যন্ত্রণা কমে যায়।
- উকুনের সমস্যায় ঘেটু পাতার রস দারুন কাজ করে থাকে। মাথায় উকুন হলে ঘেটু পাতার রস লাগিয়ে কয়েক ঘন্টা রেখে দিন এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন । তাহলে দেখবেন উকুনের সমস্যা থেকে মুক্ত পাবেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।