বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরে শুল্ক জটিলতায় চার দিন ধরে আটকে রয়েছে আনলোড হওয়া ভারতীয় পণ্যবাহী ৯ টি ট্রাকের পাথর। এ সমস্যা কবে নাগাদ সমাধান হবে তা নিয়েও চলছে নানা ধোঁয়াশা।
ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা। দ্রæত বিষয়টি সমাধান করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আমদানি-রপ্তানি কারক সহ পাথর ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থল দিয়ে ৩১ মার্চ পাথর আমদানি করা ভারতীয় ৯টি ট্রাক ঢুকে। যথা নিয়মে স্থল বন্দরের ওয়ে ব্রীজে ৯টি ট্রাকের পাথর গুলো পরিমাপ করা হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ট্রাকে সর্বোচ্চ ১৮ মেট্রিক টন পাথর আনা হয়েছে।
এই ট্রাক গুলো যথা নিয়মে বন্দরের ওয়ে ব্রীজে পরিমাপ করা হয় কিন্তু বন্দরের শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা পাথর গুলো খালাস করতে দিচ্ছেন না।
কর্মকর্তাদের দাবি প্রতিটি ট্রাকে ২৫ মেট্রিক টনের বিপরীতে শুল্ক দিতে হবে কিন্তু আমদানি-রপ্তানিকারকদের দাবি প্রতি ট্রাকে পাথর আনা হয়েছে ১৮ মেট্রিক টন সেখানে কর্মকর্তারা শুল্ক চাচ্ছেন ২৫ মেট্রিক টনের।
শুল্ক কর্মকর্তা ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে শুল্ক জটিলতার কারণে চার দিনেও খালাস হয় নি ভারতীয় ৯টি ট্রাকের পাথর। যা বর্তমানে বন্দরের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে।
এজন্য পাথর ব্যবসায়ীরা কামালপুর এলসি স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হঠকারীতাকে দায়ী করেন।
তারা বিভিন্ন আইনের ফাঁকফোকর খুঁেজ প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করেন পাথর ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের দাবি, আমরা ১৮ টনের ঘোষণা দিয়েছি কিন্তু কেন ২৫ টনের শুল্ক নেওয়া হবে। এটা সম্পূর্ণ মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
আমরা তাদের কাছে ২৫ টনের শুল্ক নেওয়ার অফিসিয়াল কোন চিঠি চাইলে তারা ব্যবসায়ীদের জানান এটা রাজস্ব বোর্ডের মৌখিক নির্দেশনা।
তাই তাদের চাহিদামাফিক বাড়তি শুল্ক না দেওয়ায় পণ্য (পাথর) খালাস করতে দিচ্ছে না। ফলে আমরা শুল্ক জটিলতায় পাথর আমদানি করতে পারছি না। অপরদিকে পাথর আমদানি না করতে পারায় বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
তারা দ্রæত বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জাবেদুল্লাহ জানান, ৩১ মার্চ বন্দরের ওয়ে ব্রীজে ট্রাকের পাথর গুলো পরিমাপ করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন সমস্যা না থাকলেও শুল্ক জটিলতার কারণে চার দিনেও পাথর খালাস করা সম্ভব হয়নি।
ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের শুল্ক শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, সিএন্ডএফ ও আমদানি-রপ্তানিকারকরা পণ্য চালানের জন্য প্রতি ট্রাকে ২৫ টনের শুল্ক পরিশোধ না করায় ট্রাক গুলো খালাস করা যাচ্ছে না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।