সেবা ডেস্ক: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সারাদেশের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গত সোমবার।
এতে বেশকিছু উপজেলায় নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি জামায়াতের নেতারাও প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ নির্বাচনে গেলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এমন হুঁশিয়ারি আগেই ছিল।
এই অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার কৌশল হিসেবে বিএনপি জামায়াতের অনেক প্রার্থী আগেভাগেই দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।
অবশ্য কেউ কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে এমন আশায় আছেন।২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও, ঐ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রথম দিকে অংশ নিলেও পরের দিকে সব স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।
এসময় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার সহ অনেককে দলীয় পদ পদবী থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
সেই থেকে পরবর্তী সময়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করে আসছে দলটি। তবে ধারাবাহিকভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসছেন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে নেতারা। পাশাপাশি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের এই গণমিছিলে যোগ দিয়েছে বিএনপির একই মায়ের পেটের আরেক ভাই হিসেবে কুখ্যাত জামায়াত ইসলামিও।
জানা গেছে, বহিষ্কার করা হলে অনেকে আওয়ামী লীগে ভিরে যেতে পারেন অথবা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারেন। এই আশঙ্কায় আছেন বিএনপি জামায়াতের হাইকমান্ড।
এতে দল দুটি সাংগঠনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে কৌশলী হয়ে অনেকেই স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যে প্রায় ৫০ উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের নেতারা প্রার্থী হয়েছেন এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখে মুখে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও ৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধি ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন। এছাড়াও আরও অনেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতারা প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব দুটোই বাড়ছে। তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানো নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে নিষ্ঠুর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।