সেবা ডেস্ক: মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে অক্ষম ব্যক্তিদের রোজার ফিদয়া আদায়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন,
اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ وَعَلَی الَّذِیۡنَ یُطِیۡقُوۡنَهٗ فِدۡیَۃٌ طَعَامُ مِسۡکِیۡنٍ فَمَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا فَهُوَ خَیۡرٌ لَّهٗ وَ اَنۡ تَصُوۡمُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
অর্থ: ‘(রোজা) নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান’। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৪)
তবে জীবনের অন্তিম অসুস্থতায় রমজানের রোজা কাজা হলে অর্থাৎ যে অসুস্থতায় রোজা কাজা হয়েছে, ঐ অসুস্থতার মাঝেই যদি কেউ মারা যায়, কাজা আদায়ের সুযোগ না পায়, তাহলে তার ছুটে যাওয়া রোজার ফিদিয়া দিতে হবে না। কারণ কাজা আদায়ের সুযোগ না পেলে কাজা ওয়াজিবই হয় না।
সাঈদ ইবনে জুবাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি রমজানে অসুস্থ হয় (যার কারণে রোজা রাখতে পারেনি) এবং ঐ অসুস্থতার মধ্যেই মারা যায়, তাহলে তার ওপর কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না’। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৭৬৩০)
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।