শফিকুল ইসলাম: প্রতারণা মুলক বাধ নির্মাণে মাটি ভরাটের টাকা না দেওয়ায় রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ময়েজ উদ্দিন ও তার সহযোগী লুৎফর রহমান।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রৌমারী শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ময়েজ উদ্দিন ও লুৎফর রহমান।
ভুক্তভোগী ময়েজ উদ্দিন বলেন, বংলাদেশ সরকারের দেশ ব্যাপী নদীর মুখে বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের হলহলিয়া নদীর মুখে বাধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার মিথ্যা কথা বলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী।
চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক বাধটি নির্মাণের জন্য মাপা হয়।
উক্ত বাধটির দৈর্ঘ্য ১৬৫০ ফুট ও প্রস্থ ৫০ ফুট। সেই অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী ও ড্রেজার মালিক ময়েজ উদ্দিনের সাথে একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়।
এরপর ড্রেজার মালিক চুক্তিনামা অনুযায়ী ওই বাধে ২৫ ফেব্রয়ারী ২৩ মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে এবং ২০ এপ্রিল ২৩ ইং কাজ শেষ হয়।
কাজ শুরুর আগেই জামানত হিসেবে প্রায় পৌনে ৫ লক্ষ টাকা নেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী। অপর দিকে মাটি ভরাটে শ্রমিক ও জ¦ালানী তেল সহ মোট খরচ হয় প্রায় ৪৮ লক্ষাধীক টাকা।
এরমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থার (কাবিটা) প্রকল্প থেকে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা ড্রেজার মালিককে দিলেও বাকি প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা এখনও দেয়নি ইমান আলী।
ড্রেজার মালিকরা তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে টালবাহনা করতে থাকেন এবং পাওনাদারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ময়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
ভুক্তভোগীরা টাকা তাদের শ্রমের টাকা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।