সেবা ডেস্ক: ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ আসাটাই তো স্বাভাবিক। তবে সেই অনুরোধই যে জীবনের সবচেয়ে বড় ‘কাল’ হয়ে দাঁড়াবে, তা কে-ই বা জানে! এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ভারতের গুজরাটের এক ব্যবসায়ী।
ফেসবুকে এক নারীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্টে করার পর সেই আলাপচারিতা হোয়াটসঅ্যাপ অবধি গড়ায়। তারপরই ভয়ংকর সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তিনি। খোয়া যায় ৯৫ লাখ রুপি; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ২০ লাখের বেশি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাটের পরাগ দেশাই নামক এক ব্যক্তি সন্দেহজনক এক ঘটনার মুখে পড়েন। তারপর সেটি সাইবার ক্রাইম বিভাগে রিপোর্ট করেন। জানা গিয়েছে গত বছর অক্টোবরে তিনি স্টেফ মিজ নামের এক নারীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্টে করেন। তারপর দেওয়া নেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। ওই ব্যক্তি দেশ থেকে ১ লাখ টাকা মূল্যের ভেষজ পণ্য কেনেন তারপর সেটি স্টেফ মিজের কোম্পানির কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ওই পণ্যগুলো লেনদেনের জন্য ড. বীরেন্দ্র নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন স্টেফ মিজ। ইমেইলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন দেশাই এবং ড. বীরেন্দ্র ও পরাগ। ওই নারী পরাগ দেশাইকে ১ লাখ টাকার স্যাম্পেল পাঠান। তিনি সেই বক্স খুলে দেখেননি। বরং ওই নারীর উপর ভরসা করে আরও অর্ডার দিতে থাকেন। পরে সেই বক্স খুলে তিনি দেখেন তাতে নেই কোনো ভেষজ পণ্য, বদলে রয়েছে পাউডার এবং চিপস। তারপরই তার টনক নড়ে তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। এভাবেই মূলত পুরো টাকা খোয়া যায়। যারা সদ্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা; ভুয়া অ্যাকাউন্ট বানিয়ে তাদের পাঠানো হচ্ছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। এমনকি সেই প্রোফাইল এমনভাবেই বানানো হয়েছে যে, তা আসল না ভুয়া চেনা যায় না। তারপর আলাপচারিতা বাড়িয়ে ফোন নম্বর দেওয়া নেয়া শুরু হয়। আর এখান থেকেই সূত্রপাত হয় জালিয়াতির। ফোন এবং ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়ে ওঠায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ফেসবুকে জুড়ছেন। এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট যাচাই না করে অ্যাকসেপ্টে করা উচিত নয়। পাশাপাশি পরিচয় যাচাই না করে কোনো আর্থিক লেনদেন, ফোন নম্বর দেওয়া উচিত নয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।