নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার রিধইল গ্রামের মাসুদ রানা ও মামুন আহমেদ নামের দুই ভাই নিরিহ মানুষের সরলতার সুযোগে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ করা হয়।
বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আয়নাল হক।
উপস্থিত ছিলেন পূর্বপাড়ার বাসিন্দা শাহজাহান আলী, মিজানুর রহমান, কচুগাড়ীর বাসিন্দা ফজলুর রহমান, কলেজপাড়ার বাসিন্দা আজমীর হোসেন, ওমরপুর এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ আলী ও আনিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, একদিকে সত্যের পক্ষের সাংবাদিকরা বাস্তবতা তুলে ধরে সংবাদ করছেন, আর অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে রিধইল গ্রামের মাসুদ রানা ও মামুন আহমেদ নামের দুই ভাই দুর্নীতিবাজদের পক্ষে থেকে স্থানীয় নিরিহ লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
তাঁরা নাকি চাঁদনী বাজার, মানবজমিনসহ বড়বড় পত্রিকায় কাজ করে। তারা ভুয়া পরিচয় বহন করা হলুদ সাংবাদিক। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে আয়নাল হক অভিযোগ করেন, রিধইল গ্রামের মাসুদ রানা ও মামুন আহমেদ নামের হলুদ সাংবাদিক প্রতিদিন সকাল হতেই ধান্দার খোঁজে বের হয়।
থানায় কোনো ব্যাপারে অভিযোগ হলেই একটি পক্ষের টাকার বিনিমিয়ে আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে ভূঁইফোর পত্রিকা, অনিবন্ধিত অনলাইন এবং ফেসবুকে অপপ্রচার করে।
নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজে অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্য করা দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতি কামরুল হাসান সবুজ ও বিধি বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ হওয়া মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়ার অপসারণ দাবিতে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি এলাকাবাসী ও সচেতন জনগন মানববন্ধন করে।
সেখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মাসুদ ও মামুন নামের দুই হলুদ সাংবাদিক।
তারা গত ৩ মার্চ মানসিক ভারস্যাম্যহীন দুই ব্যক্তিকে দুইশো টাকার বিনিময়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে কলেজের মানববন্ধনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।