রৌমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বরাদ্দের অর্থ কাজ না করে আত্মসাত, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা, শিক্ষার্থী, অভিভাবকক, সহকারি শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, পাঠদানে অনিহা, প্রতিষ্ঠাতার নাম পরিবর্তন ও বিদ্যালয় অন্যত্র নেওয়ার পায়তারাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শামছুল আলমের বিরুদ্ধে। 

রৌমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ



এসব অভিযোগের কারনে বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর সিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, রৌমারী উপজেলার ধনারচর সিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শামছুল আলম প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সহকারি শিক্ষক পরে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পদ পেয়ে নানা সময়ে নানা অভিযোগ উঠে এসব অভিযোগগুলো আমলে না নিয়ে অর্থের মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শামছুল আলমের পক্ষে সাফাই গান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অভিযোগের কারনে শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান মাদরাসা, কিন্ডার গার্টেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন এর ফলে প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষার্থী শুন্যের কোঠায় নেমে যাচ্ছে বর্তমানে শিশু শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় শিক্ষার্থী ৬১জন রয়েছে তাদের পড়ানোর জন্য বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫জন শিক্ষক রয়েছেন কিন্তু বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বরাদ্দের ¯øীপ, রুটিনমেইনটেন্স, ক্ষুদ্র-মেরামতের অর্থ কাজ না করে আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম তিনি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হোসনে আরার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন পাশাপাশি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সপ্তাহে ৩দিন উপস্থিত হন বাকি দিনগুলো নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে তিনি উপস্থিতি না হয়েও হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করেন কিন্তু এসব অভিযোগের সঠিক তদন্ত না হওয়ায় তিনি এসব অপরাধ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী জীবন নাহার সহকারি শিক্ষকের খারাপ ব্যবহারের কারনে আজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাশের বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুন্যের কোঠায় বর্তমানে উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫জন শিক্ষার্থী তাই দ্রæত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করে দেয়ার জোর দাবি জানান।
বিদ্যালয়ের সভাপতি হোসনে আরা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন সময়ে সরকারি বরাদ্দের অর্থ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কাজ না করে আত্মসাত করেন এর প্রতিবাদ করলে আমাকে হুমকিসহ সভাপতি পদ বাতিল করবেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানালেও রহস্যজনক কারনে ব্যবস্থা নেন না।
অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানা সময়ে আমার সহকারি শিক্ষকরা এবং কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সভাপতি মিথ্যা রটাচ্ছেন আমার ব্যক্তিগত কারনে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে না ।
তিনি আরও বলেন, নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় শিক্ষার্থী কমছে কারন শিক্ষার্থীদের বাড়ি দুরবর্তী হওয়ায় উপস্থিতিতে কমছে তা সত্য আর বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করিনি বরং সঠিকভাবে কাজ করেছি কারও স্বাক্ষর জাল করেনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, বিদ্যালয়ে সরেজিমন গিয়ে ছিলাম সমস্যাগুলোর কথা শুনেছি এখন দেখেশুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পারিবারিক সমস্যা বেশি কারন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি, তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষক ও ভাতিজি সহকারি শিক্ষক এবং সভাপতি ভাতিজার স্ত্রী এসব কারনে সম্বনয়হীনতা সৃষ্টি হয়েছে তিনি আরও বলেন, আমার আমলে এসব বরাদ্দ হয়নি তাই বলতে পারবো না

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top