শফিকুল ইসলাম: সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যাত্রামঞ্চে ভোট চাওয়া, অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি, জুতাপায়ে শহিদ মিনারে অবস্থান, ধর্মীয় সভায় মিথ্যাচার নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে বাকবিতন্ডতার সৃষ্টি, গোপনে রাজস্ব উন্নয়নে অর্থ একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, কাজ না করেই প্রকল্পের বিল উত্তোলন, সরকারি গাড়ির চালক পরিবর্তন, বর্ডার হাটের ক্রেতা-বিক্রেতার নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে।
এসব বিষয় নিয়ে একাধীক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ, হত্যা ও মামলার হুমকি ও গালিগালাজ পারেন তিনি। এনিয়ে সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি, মানববন্ধন, স্বারকলিপি সহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।
জানা যায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সরকারি ভাবে বিভিন্ন নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে ছিলেন। এতে প্রায় শতাধিক পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে নিংস্ব হয়েছেন। এঘটনায় সাংবাদিকগণ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে তিনি নিয়মবর্হিভুতভাবে সাংবাদিকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী চরশৌলমারী ইউনিয়নের শান্তিরচর গাছবাগানে শবেমিরাজ রাতে যাত্রাপালায় ভোট চান। এ খবরটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি সাংবাদিকদের উপর তেলেবেগুনে ক্ষেপে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ পারেন। এতে তিনি ক্ষান্ত হয়নি বরং বাগুয়ার চরসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রা মঞ্চে বেপরোয়া হয়ে ভোট চাওয়া অব্যহত রেখেছেন।
এদিকে গত সোমবার প্রতিশোধের নিশায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ, চড়াও ও হত্যার হুমকি দেন। পরে সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় জিডিসহ মানববন্ধন ও সচিব স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রালয় বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। কিন্ত বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন সাংবাদিকরা।
অপর দিকে একাধীক মাসিক সমন্বয় সভায় গোপনে রাজস্ব উন্নয়নের অর্থ নিয়ে ঘাপলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কার্য্যক্রম স্থগিত হয়। এছাড়া বালিয়ামারী বর্ডার হাটের নতুন করে ক্রেতা-বিক্রেতা নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এবিষয়ে সাধারণ ডায়রী গ্রহণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান স্বারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।