জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে জাপা মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী মীর শামসুল আলম লিপটনের ভোট বর্জনের বিষয়ে আ’লীগ প্রার্থী আলহাজ মির্জা আজম এমপি বলেছেন, অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা।
কারণ তার কাছে আমি বলেছি, আমার কোন নেতা-কর্মী লিপটনের কোন কর্মীকে হেনস্ত করেছে; এটা বলেন। আমি প্রকাশ্যে উপযুক্ত বিচার করবো। তিনি তা বলতে পারেননি। নিজের জামানত বাজেয়াপ্ত হবার ভয়ে দিনভর ভোট শেষে বিকেলে ভোট বর্জনের নাটক সাজিয়েছেন। এমন করাটা উচিত না। মির্জা আজম আরো বলেন, আমাদের গ্রাম পর্যায়ে নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারও আছে। তাদেরতো এত সুসংগঠিত নেতা-কর্মী নেই। এই নির্বাচনে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদেরই ভোট পেয়েছি বেশি। এটা তারা পরে বুঝতে পেরেছেন। আমি মনে করি নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।
উল্লেখ্য, নৌকায় সিল মারা, লাঙ্গলের এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাপার প্রার্থী মীর শামসুল আলম লিপটন নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিলে মির্জা আজম এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মীর শামসুল আলম লিপটনের এজেন্ট ভালুকা কেন্দ্রের শাহিন (৩৫), আশরাফুল (৩০), তারাকান্দি কেন্দ্রের লিখন (৩০) জানান-দুপুরের দিকে দুই একজনকে ফলস ভোট দিতে দেখি। পরে লিপটনকে জানাই। তিনি কেন্দ্র থেকে চলে আসতে বলছেন। তখন চলে আসি। লিপটনের অপর নারী এজেন্ট এডভোকেট লিপি আক্তার (৪২) জানান-শ্যামপুর স্কুল কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকার সিল মারা দেখে লিপটনকে জানালে তিনি চলে আসতে বলেছেন।
লিপটনের নিজ গ্রাম হামলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার এবং আ’লীগ কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী মন্টু, মোহন মিয়া জানান-লিপটন আমাদের সমাজের মানুষ। সারাক্ষণ আমরা একসাথেই কেন্দ্রে ছিলাম। হঠাৎ করে বাড়িতে গিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেন। এটা আমাদের কাছে অবাক মনে হয়েছে।
শ্যামপুরের আব্দুল মোতালেব, সাধুপুরের শরাফত আলী, দেলোয়ার হোসেন, বাঘাডোবার আলতাফ হোসেন, মালঞ্চর শাহাবুদ্দিন চেয়ারম্যান, লক্ষীপুরের হাফিজুর রহমান জানান-এবারের নির্বাচনে কোথাও কোন কারচুপির অভিযোগ পাইনি। তবে ভোটার উপস্থিতি একটু কম ছিল। কোন কোন কেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতিও ছিল অনেক।#
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।