আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : মানুষ মরণশীল। কিন্তু কিছু মানুষ তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে অমরত্ব লাভ করে। শুরুটা হয়েছিলো স্কুল জীবন থেকেই, ছাত্রলীগ রাজনীতির মধ্যদিয়ে। এরপর যুবলীগ আর আওয়ামীলগের নেতা-কর্মী হিসাবে সারাটা জীবন তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
ছিলেন, রাজপথের লড়াকু সৈনিক। বলছি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন খান (বাবু)’র কথা। ঘাটাইল এর রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে জনাব সুমন খান (বাবু) এক অনন্য ব্যক্তি, যিনি জনসেবাকে রাজনীতির মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করেছেন। ভালো কাজে দলমত নির্বিশেষে মানুষের উপকার করাই তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ। তার মহৎ গুনাবলীকে যারা হিংসার চোখে দেখেছেন কিংবা তার কাছের রাজনৈতিক রুদ্ধাচারণকারীরাও স্বীকার করবেন যে, তিনি মানুষের দুর্দিনে, মানুষের পাশে স্বার্থহীন ভাবে পাশে থাকেন, তাদের সাধ্যাতীত সহযোগীতা করেন হাসি মুখে। ফলত স্বাভাবিকভাবেই তিনি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দুটোই অর্জন করেছেন। এমন নেতা যিনি সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার দর্শন বাস্তবায়ন করতে দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি রাজপথের লড়াকু সৈনিক,একজন আস্থাভাজন নেতা। একটি শিক্ষিত পরিবারে তার জন্ম, তিনি ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভালোবাসতো বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারন করে নিজ উদ্যোগে এতিম মিসকিনদের অনেক ভাবে সহোযগিতা করে থাকেন । ১৯৭৮ সালের ১৮ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার বাগুস্তা গ্রামে এক সম্ভান্ত্য মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন সুমন খান (বাবু)। পারিবারিক ভাবেই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সুমন খান। ঘাটাইলের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে জনাব সুমন খান (বাবু) একজন কিংবদন্তী। বিভিন্ন মাধ্যমে জনসূত্রে জানা যায়, তিনি একজন সৎ নির্ভিক ন্যায় নীতিবান লোক। মাঠ পর্যায়ে তার অদম্য নেতৃত্বের অনেক সুনাম আছে। তিনি তার নেতা কর্মীদের নিয়ে আসন্ন ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে সকলের কাছে দোয়া কামনা করছেন। ১৯৮৯ হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি রাজাফৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ হতে ১৯৯৩ সন পর্যন্ত কালিহাতী শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে,১৯৯৩ হতে ১৯৯৪পর্যন্ত কালিহাতী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত কমন রুম সম্পাদক পদে এবং পরবর্তীতে জি.এস পদে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫ হতে ১৯৯৬ সন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৭ হতে ১৯৯৯ সন পর্যন্ত ঘাটাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৯৯ হতে ২০০২ সন পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ২০০৩ সনে ঘাটাইল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন ২০০৪ হতে ২০০৭ সন পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তী কাউন্সিলে ২০০৭ হতে ২০১২ সন পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সনে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণশাসন মহিলা ডিগ্রী কলেজ এবং হামিদপুর ইসলামিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন সৎ রাজনীতিবীদ ও সমাজসেবক হিসেবে সফল এই ব্যবসায়ী বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের জন্য অনুদান প্রদান, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার মেধাবী এবং অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে “বৃত্তি প্রদান” করে থাকেন। উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি ওৎপ্রতোভাবে জড়িত। যেখানে অনেক বড় বড় সমাজসেবক রাজনীতিবীদ অসহায় মানুষের দ্বারে গিয়ে সহায়তা প্রদানে কালক্ষেপন করেন সেখানে সুমন খান (বাবু) তার মাহানুভবতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার প্রতিবন্দীদের মাঝে অন্ন, বস্ত্র ও নগদ অর্থ প্রদানসহ, শীতে অসহায় মানুষের শীত লাঘবের জন্য “শীত বস্ত্র বিতরণ” করে থাকেন এই জনদরদী সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগের বিশ্বস্ত সৈনিক সুমন খান (বাবু) । দলের জন্য অক্লান্ত ও নিশ্বার্থ ভালোবাসায় একজন সৎ যোগ্য কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ সুমন খান (বাবু) । বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ও ক্লাবে “আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ” করেন এই উন্নয়ন বান্ধব সমাজসেবক। জনগনের সেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং ঘাটাইলের সার্বিক উন্নয়ন ও এলাকার জনগনের মানোন্নয়নে কাজ করার লক্ষে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এই কর্মীবান্ধব জনদরদী গরীবের বন্ধু ও আওয়ামীলীগের পরিক্ষিত সৎ যোগ্য ক্লিন ইমেজ বিশিষ্ট জনাব সুমন খান (বাবু) মনোনোয়ন প্রত্যাশা করেন। এবিষয়ে জনাব সুমন খান (বাবু) বলেন বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে, মানবতার সেবায় জননেত্রী, দেশরত, মমতাময়ী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজপথে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখা। দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা ও জনগণের দায়িত্ববোধ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাঙ্গালীর জন্য, যে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে নিজের অবস্থান হতে প্রিয় নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে রাজপথে থেকে নিরলস কাজ করে যাওয়া। পিতা মুজিবের সোনার বাংলা গড়তে তার অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য মানবতার নেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমার মাতৃ সমতুল্য মমতাময়ী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত তার চলার পথকে মসৃণ রাখব, ইনশাআল্লাহ। (পরবর্তীতে জনাব সুমন খান (বাবু)’র রাজনৈতিক সফলতা জনপ্রিয়তা ও সামাজিক উন্নয়ন বান্ধব কর্মকান্ড নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করা হবে।)
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।