উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কম্পিউটার শিক্ষার সনদ জালিয়াতির মামলায় রাবেয়া খাতুন রুবি (৫৬) নামের এক সহকারী শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।
দুদকের মামলায় রবিবার রাতে রুবিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রুবি উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি শিক্ষিকা ও দিঘলগ্রামের বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ এর স্ত্রী।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী আল-আমিন বলেন, রাবেয়া খাতুন ১৯৯৫ সাল থেকে উল্লাপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জাল সনদ দিয়ে চাকুরী করার অপরাধে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করে। আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাতে রাবেয়া খাতুনের শিক্ষা ও কম্পিউটার সনদ ভুয়া বলে সন্দেহ করে অডিট কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক পত্রের আলোকে বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি নেকটারের পরিচালকের কার্যালয়ে রাবেয়া খাতুন রুবির কম্পিউটার বিষয়ের সনদটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠায় শিক্ষা অধিদপ্তর। এর পর ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে নেকটার রাবেয়া খাতুনের কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্সের সনদটি যাচাই-বাছাই শেষে জাল ও ভুয়া সনদ বলে চিহ্নিত করে।
এ জাল সনদের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার এমপিও ভুক্তির তারিখ ২০০৯ সালে ১ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত রাবেয়ার গৃহীত সরকার প্রদত্ত ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে টাকা ফেরত প্রদান না করায় ২০২২ সালের ১৯ জুন তারিখে দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, দুদকের মামলায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়েছিল। রোববার রাতে গ্রেফতার করে সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।