শফিকুল ইসলাম : কম্বলের দাবীতে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শীতবস্ত্র বঞ্চিত দরিদ্র অসহায় মানুষেরা।
সোমবার বিকালের দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ অবরুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, মাঘের শুরুতেই ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার সঙ্গে হাড়কাপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবি মানুষ এবং শৈত্য প্রবাহের কারনে রৌমারী ও রাজিবপুরে মানুষ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কয়েব দফায় ৪৮১০টি কম্বল বরাদ্দ আসলেও তা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সঠিক ভাবে বিতরণ না করায় প্রকৃত শীতার্থ ও অসহায় মানুষেরা বঞ্চিত হচ্ছে এ শীতবস্ত্র থেকে। এছাড়া সঠিক তদারকি ও মনিটরিং এর অভাবে এসব কম্বল নয়ছয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শীতার্থরা। তারা আরো বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন আসতেছে জন্নে চেয়ারম্যান তার আতীয় স্বজনদের ও কর্মীদের মাঝে এই কম্বলগুলো দেয়। জনপ্রতিনিধিরা বলছে উপজেলা থেকে আমাদেরকে কোন কম্বল দেয় না আমরা কেমনে তোমাগরে দিমু কম্বল।
এনিয়ে শীতবস্ত্র ও কম্বল না পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কক্ষে চেয়ারম্যাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিভিন্ন এলাকার শীতার্থ মানুষ। পরে চেয়ারম্যান ইমান আলী অবস্থার বেগতিক দেখে কম্বল দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেয় এবং তরিঘড়ি করে কম্বল বঞ্চিত ব্যক্তিদের তালিকা করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায় এ পর্যন্ত রৌমারীতে ৪ হাজার ৮১০ টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। সেগুলো ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
অবরুদ্ধের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, আমার কাছে প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে শতশত লোক কম্বলের জন্য ধন্না ধরে। আমি যা পেয়েছি তা বিতরণ করেছি। তবে চাহিদার তুলনায় অনেক কম কম্বল আসে এই উপজেলায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, রৌমারী উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি, সেগুলো তালিকা করে শীতার্থ মানুষের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। তবে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আরও শীতবস্ত্র আনার চেষ্টা করবো।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।