মোঃ শাহ জামাল, জামালপুর সংবাদদাতা : আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে কাগজে-কলমে তিনজন প্রতিদ্বন্ধি থাকলেও; বাস্তবে বা মাঠপর্যায়ে নৌকার প্রতিদ্বন্ধি নেই বল্লেই চলে। এ ক্ষেত্রে ভোটার উপস্থিতিই চ্যালেঞ্জ হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এই আসনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন একমাত্র আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মির্জা আজম। জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের মীর শামসুল আলম লিপটনের শুধু পোস্টার আছে। অপরদিকে জাতীয় পাটি (জেপি)’ মনোনীত বাইসাইকেল প্রতিকের সৈয়দ নজরুল ইসলামের পোস্টার-প্রচারণাও নেই। নেই ভোটারদের মাঝে পরিচিতিও।
কয়েকদিন আগে লাঙ্গলের প্রার্থী মীর শামসুল আলম লিপটনকে ঝাউগড়ায় ভোট প্রার্থনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে। ইতোপূর্বে তাঁর নিজের এলাকা দুরমুঠেও ভোট চাইতে দেখা গেলেও, অন্য কোথায় প্রচারণায়, ভোট চাওয়ার তৎপরতাও চোখে পড়েনি। অন্যদিকে বাইসাইকেলের প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের পোস্টারও নেই। তবে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কের মেলান্দহের মালঞ্চতে কয়েকটি পোস্টার দেখা গেছে। তবে নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে লাঙ্গল প্রার্থী মীর শামসুল আলম লিপটনের বাড়িতে ৪ জানুয়ারি ঘটাকরে সাংবাদিক সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের মাঝে হাসির খোরাক যুগিয়েছেন।
নৌকা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা না থাকায় কাঙ্খিত ভোট উৎসব হবে কি না? সংশয়ের বিষয়টি হাটে-ঘাটে-চায়ের আড্ডায় আলোচিত হচ্ছে। এরমধ্যে বিএনপি’র নির্বাচন বয়কট এবং ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিতের প্রচারপত্র বিলি অব্যাহত আছে। ওদিকে আ’লীগের কর্মী-প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। ওঠান বৈঠকসহ সকল প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ভোট কেন্দ্রে যেতে এবং নির্বিঘেœ পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সচেতনা সৃষ্টি করছেন। আ’লীগ প্রার্থী মির্জা আজম ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বরাবরই এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকায় বহু উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়টি ভোটারদের মাঝে আলোচনায় আসছে।
নির্বাচনের বিপক্ষে প্রচারপত্র বিলির বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নূরুল আলম সিদ্দিকী জানান-মানুষের ভোট দেয়া, না দেয়া এবং কাকে ভোট দিবে, সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে। ডামি নির্বাচনের উদ্দেশ্য-গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমাদের প্রচারপত্রে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মাথায় নিয়েই সর্বাধিক উপস্থিতি, ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে এবং আমাদের ভোট দিতে প্রতিটি গ্রামেই কয়েকবার ওঠান বৈঠক করেছি। গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছি। সফলও হবো।
মেলান্দহ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিন্নাহ জানান-৭ জানুয়ারি বৈরি আবহাওয়া থাকলে কিছু ভোটার নাও আসতে পারেন। কেন্দ্র ভিত্তিক ৩৫০ শতাধিক ফিক্স নেতা-কর্মী এবং তাদের স্বজনদের ভোট কেন্দ্রে আনতে বেগ পেতে হবে না। সাধারণ ভোটাররাও এবার ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত হবে। আমরা চেয়েছিলাম সকল প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।