জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কলেজ ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃত কলেজ ছাত্রকে জেলহাজতে প্রেরণ করে ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ফুলবাড়ী থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানিয়েছন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ইট ভাটায় কাজ করার কারনে বাড়ীতে থাকেন না। তার স্ত্রী চায়না বেগম বসত ঘরের এক পাশে মুদি দোকান দিয়ে দোকান পরিচালনা করেন। গত মঙ্গলবার চায়না বেগম দোকান বন্ধ রেখে স্বামীর দেখা করতে যান। সেখান থেকে ফিরতে রাত হয়ে যায়। বাড়ীতে তার মেয়ে উপজেলার গংগারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী [ রহিমা খাতুন] (১৪) একাকী ছিলেন। এই সুবাদে একই গ্রামের আবু তালেব শেখের ছেলে কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবুল হাসেম (২২) রাত এগারো টার দিকে দোকানে সিগারেট নেয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করে। সিগারেট দেয়ার জন্য দরজা খোলামাত্র হাসেম ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর চায়না বেগম বাড়ীতে ফিরে দরজা খোলার জন্য মেয়েকে ডাকলে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান। পরে চায়না বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করে বেধে রাখে।
এ ঘটনার পর আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা বুধবার সারাদিন ওই পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়। পরে বাড়ীতে এসে আব্দুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্যের আবেদন করেন। ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে বুধবার রাত দশটার দিকে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভিকটিমের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে রাতেই ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।