[১৮১৪] চন্দনা উড়ে গেছে: মহান মুক্তিযুদ্ধের অপ্রত্যুষিত কাহিনী

S M Ashraful Azom
0

: "চন্দনা উড়ে গেছে" হল একটি নতুন উপন্যাস যা পঞ্চাশ বছর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশাল পটভূমিতে রচিত। এটি পাঠকদের বিস্ময়কর ঘটনাপ্রবাহ, গেরিলা যুদ্ধের বুদ্ধিদীপ্ত সাহসিকতা, সফলতা, তাদের বীরত্ব ও বিশাল ত্যাগের বলিষ্ঠ চিত্রায়ণ দিয়ে মুগ্ধ করবে।

চন্দনা উড়ে গেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের অপ্রত্যুষিত কাহিনী



আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম খুবই অপ্রতুল। অথচ আমরা আমাদেরকে বীরের জাতি বলে শ্লাঘা বোধ করতে কার্পণ্য করি না। কিন্তু হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশাল পটভূমিতে আমাদের স্বাধীকারের লড়াই আমাদের সাহিত্যকর্মে বিস্ময়কর রকমে অনুপস্থিত।

বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের পঞ্চাশ বছর পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশাল পটভূমিতে রচিত হল,

“চন্দনা উড়ে গেছে” উপন্যাস খানি। কালের ব্যবধান থাকা সত্বেও এ কাহিনীর বিস্ময়কর ঘটনাপ্রবাহ, গেরিলা যুদ্ধের বুদ্ধিদীপ্ত সাহসিকতা, সফলতা, তাদের বীরত্ব ও বিশাল ত্যাগের বলিষ্ঠ চিত্রায়ণ পাঠককে এক মুগ্ধতার আবেশে মোহাবিষ্ট করে শেষ পাতা পর্যন্ত আঠার মত জুড়ে রাখবে।


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বড় অংশটি ছিল গণযোদ্ধার। এরা সংখ্যার দিক থেকে নিয়মিত বাহিনীর চেয়ে অনেক বড় ছিল। এই গণযোদ্ধারা কয়েক সাপ্তাহের ট্রেনিং নিয়ে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, 

হাটে-বাজারে, শহরে-বন্দরে ছড়িয়ে পড়ে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদরকে কোণঠাসা করে রাখে। মুক্তিবাহিনীর এ সব গণযোদ্ধা গেরিলাদের 

নিয়ে খুব একটা সাহিত্যকর্ম রচিত হয়নি। তাই আমাদের মহান গেরিলা যুদ্ধের অনেক কাহিনী এখনো অজানা। এ উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ এমন এক স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও অপার দক্ষতায় বিন্যাস করা হয়েছে, যা পাঠককে কব্জা করে রাখে।


এ উপন্যাসের বিশাল পটভূমিতে রয়েছে, শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ থেকে প্রত্যন্ত হাট-বাজার, পাহাড়ী 

নৃ-গোষ্ঠির জনপদ, তাদের জুমিয়া জীবন ও মাতৃভিুমিকে হানাদারদের দখল মুক্ত করার বিস্ময়কর সম্প্রীতি নিয়ে গণযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ও প্রতি-আক্রমণ, এক তেজোদীপ্ত বীরত্ব গাঁথার উপখ্যান। এবং যুদ্ধ শেষে মানবিক উষ্ণতায় বীর বন্দনা। 


এটি শুধু বলিষ্ঠ দক্ষতায় কারুকার্যময় এক কাহিনীই  নয়, এটি সত্তর দশকের শুরুর দিকের এক এ্যনালগ সমাজের বিশ্বাসযোগ্য সামাজিক দলিল, যার আজকের ডিজিটাল যুগে মহামূল্যবান গুরুত্ব রয়েছে। উপন্যাসটির পরতে পরতে আছে সত্তর দশকের আর্থসামাজিক, মানবিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বর্ণনা, আছে বাংলাদেশের তরুণ-যুবাদের প্রতিরোধ যুদ্ধের কাহিনী, কিভাবে তারা খুবই স্বল্প প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় খালি হাতে গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর জামাত, রাজাকার, আলবদর বাহিনীর  উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে রুখে দিয়েছিল। কিভাবে তাদের বাংলার কাদা-মাটিতে পর্যদুস্ত করেছিল, সেইসব ঘটনার রোমহর্ষক অনুপুঙ্খ বর্ণনা। আছে গেরিলাদের মধ্যকার দ্বন্ধ, দুঃখ-কষ্ট, আপোষহীন লড়াই, আত্ম-বলিদান, বীরত্ব এবং. গৌরব গাঁথা।


বিজয়ের পঞ্চাশ পরেও বাঙালীর বিজয় গাঁথার এই অনন্য আখ্যান পাঠককে মুগ্ধতার আবেশে বিমোহিত করে রাখবে, তাদের পূর্বসূরির মহান বীরত্বের কাহিনী তাদেরকে ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ধারাবাহিকভাবে উজ্জীবত করবে। নিঃসন্দেহে এ উপন্যাস এক উচ্চমার্গীয় সাহিত্যমূল্য ধারণ করে।


স্বাধিকার, অধিকার, ভালবাসা, গন্ধক, রক্ত, এবং নাইট্রিক এ্যাসিডের সংমিশ্রণে এ এক মুক্তির পথ যাত্রা।


লেখক পরিচিতি

জন্ম ১৯৫৭ সনের ১৫ ফেব্রুয়ারী। চট্টগ্রামে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত এক তরুণ কবি, লেখক। সত্তর দশকে মূলত ছোট কাগজে লেখালেখি শুরু করেন কিন্তু ধারাবাহিকতার সাথে তার অপরিচয় চিরায়াত। এরি ধারাবাহিকতায় কবি সরদার ফারুকের সাথে যৌথভাবে সম্পাদনায় কবিতা বিষয়ক ত্রৈমাসিক “অনৃত” বের করেন। এর পাশাপাশি ফেসবুকে নিয়মিতভাবে অনিয়মিত লেখালেখি; কবিতা, ছোট গল্প, ও অণুগল্প্। পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ লেখালেখি।


আমাদের এতবড় রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থাকা সত্বেও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য পরিসরে খুবই কৃশ মনে হলে তিনি ২০২১ সনে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে “চন্দনা উড়ে গেছে” উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে উপন্যাসটি আর শেষ করা হয় নাই। একসময় প্রিয় জনদের তাগিদে পুনারায় লেখা শুরু করে ২০২২ এর ডিসেম্বরে শেষ করেন।

তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা এবং ব্যবসায় প্রশাসনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী।

তার প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ ”পাথরের গুহা”, ”চন্দনা উড়ে গেছে” তার প্রথম উপন্যাস।


উৎসর্গ
মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, 
জীবিত ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা, 
এবং সনদ না পাওয়া 
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে।




শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top