শফিকুল ইসলাম : ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়ার ১১দিন অতিবাহিত হলেও মামলা রেকর্ড করা হয়নি। বিচার চেয়ে ওসির বিরুদ্ধে বুধবার (২৯ নভেস্বর) সকাল ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাউনিয়ারচর জালচিরাপাড়া নামক এলাকায়। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগি ওই শিক্ষার্থী।
অভিযোগে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন সদর ইউনিয়নের জালচিড়াপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে রিমন মিয়া (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগি ওই শিক্ষার্থী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দুই বছর আগে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের জাউনিয়ারচর জালচিরাপাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে রিমন মিয়ার (১৯) সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত রিমন মিয়া। এ দিকে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই শিক্ষার্থীর বসতবাড়িতে গিয়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেন অভিযুক্ত যুবক।
ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের সমন্ধ আসলে ছেলে পক্ষকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেন রিমনের মা ভানু বেগম। চতুরতা করে অভিযুক্তকে গোপনে দেশের বাইরে পাঠানোর পায়তারা করছেন অভিযুক্তের পরিবার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগি ওই শিক্ষার্থী। উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চান ওই কিশোরী।
ভুক্তভোগি ওই শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রাজীবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এতে কোনো প্রতিকার মেলেনি তাঁর। এ ঘটনায় দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত রিমন মিয়ার মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ করেন তাঁর বড় ভাই এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম ঘটনাটি মিমাংসা করে দেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে রাজীবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্তের ভাইকে বিষয়টির মিমাংসা করে দেওয়ার আশ^াসের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।