সেবা ডেস্ক : মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে ঢাকার মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যানজট কমে যাওয়ায় মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে গেছে। উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে আগে যেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগত, এখন মেট্রোরেলে মাত্র ৩৮ মিনিটে যাওয়া যায়। এতে মানুষের মূল্যবান সময়ের সাশ্রয় হচ্ছে।
রাজধানীতে যত সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে যানজট সবচেয়ে ভোগান্তিকর। ঢাকার অসহনীয় যানজটে কেবল মানুষের দুর্ভোগই বাড়েনি, দেশও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এই যানজট হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মঘণ্টারও ক্ষতি করে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি প্রভাব পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে। যানজটের মতো কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট দুরবস্থা নিরসনের জন্য মেট্রোরেল চালু করা ছিল অত্যন্ত জরুরি।
মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে ঢাকার মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যানজট কমে যাওয়ায় মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে গেছে। উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে আগে যেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগত, এখন মেট্রোরেলে মাত্র ৩৮ মিনিটে যাওয়া যায়। এতে মানুষের মূল্যবান সময়ের সাশ্রয় হচ্ছে।
মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানজটে আটকে না থেকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন মানুষ। এতে কর্মক্ষেত্রে কাজে মনোযোগ বাড়ছে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মেট্রোরেল একটি বিদ্যুৎচালিত পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি চালু হওয়ার ফলে ঢাকার বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ অনেকটাই কমেছে। মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। এতে যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বায়ুদূষণ কমেছে। এছাড়া, মেট্রোরেল বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় শব্দদূষণও কমেছে।
মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে ঢাকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য মানুষের খরচ কমছে। এতে মানুষের আয় বাড়ছে এবং ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া, মেট্রোরেল চালু হওয়ায় পর্যটন শিল্পও বিকশিত হচ্ছে।
মেট্রোরেল চালু হওয়ার ফলে ঢাকার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, মেট্রোরেল ঢাকার আঞ্চলিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মেট্রোরেল নির্মাণের ফলে ঢাকার আশেপাশের এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে।
এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, এমআরটি লাইন-৬ এর সম্পূর্ণ অংশ চালু হওয়ার পর মেট্রোরেল পরিচালনাকালে দৈনিক Travel Time Cost বাবদ প্রায় ৮ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা এবং Vehicle Operation Cost বাবদ প্রায় ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। এই সাশ্রয়কৃত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। GDP Growth Rate বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মেট্রোরেল ঢাকার একটি অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি চালু হওয়ার ফলে ঢাকার মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মেট্রোরেল মানুষের মূল্যবান সময়ের সাশ্রয় করছে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করছে, পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে এবং ঢাকার আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আধুনিক নগর-পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ সরকারের দূরদর্শী চিন্তার ফসল মেট্রোরেল। যা বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন অভিযাত্রায় একটি বিস্ময়–জাগানো মাইলফলক অর্জন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।