নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে কড়ইহাটে যানবাহন চলন্ত অবস্থায় চালক ও মাছ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করে মারপিটের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তবে মাছ বিক্রির সোয়া লাখ টাকা ছিনতাইয়ের প্রমাণ মেলেনি।
মারপিটের সময় টাকা হারিয়ে যেতে পারে বলে তদন্তকালে পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার কড়ইহাট বাজার এলাকার ব্রীজের সামনে মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার থানায় লিখিত হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মারপিটের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সড়কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাছ বহনকারী ভটভটি চালক ও যাত্রীকে মারধর করেছে মোটরসাইকেল চালক। মারপিটের সময় মাছ বিক্রির টাকা পড়ে গিয়ে হারিয়ে যেতে পারে অথবা কেউ চুরি করে নিয়েছে। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে ফিল্ম স্টাইলে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করলেও তদন্তে প্রমাণ মেলেনি।
ওসি জানান, দুইজনকে মারপিট ও ৭২৮ কেজি মাছ বিক্রির সোয়া লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেছেন কাহালু উপজেলার কাজিপাড়া এলাকার মোজাম খন্দকারের ছেলে ঝন্টু খন্দকার। অভিযুক্ত একরাম হোসেন (৪০) নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের নন্দনবাড়ী পূর্বপাড়ার মমতাজ আলীর ছেলে। অভিযোগে অজ্ঞাত আরো ৮জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
ভটভটি চালক ঝন্টু খন্দকার ও মাছ ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম বলেন, তারা নওগাঁর আত্রাই আড়তে মাছ বিক্রি করে কাহালু উপজেলায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কড়ইহাট ব্রীজের সামনে ভটভটি চলন্ত অবস্থায় তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করা হয়। ঘটনার সময় মাছ বিক্রির টাকা চুরি হয়ে গেছে। আহত দুইজন কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত একরাম হোসেন বলেন, সড়কে তার মোটরসাইকেলে চাপ দিয়েছিল ভটভটি। মারপিট করা তার ভুল হয়েছে। টাকা ছিনতাই ঘটনা ভিত্তিহীন, ঘটনার সময় তাদের টাকা পড়ে গিয়ে হারিয়ে যেতে পারে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।