সেবা ডেস্ক : জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নূর মোহাম্মদ। তিনি একজন সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নূর মোহাম্মদ। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী হিসেবে জামালপুর-১ আসনে নূর মোহাম্মদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নূর মোহাম্মদ ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন। ছাত্রজীবন শেষ হলে তিনি ছাত্রলীগ থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে সাহসী ভূমিকা পালন করে নুর মোহাম্মদ।
২০০৩ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করেন।
তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে নূর মোহাম্মদ এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছেন। অ-সচ্ছল মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, গাছের চারা বিতরণ, কৃষকদের মাঝে সার-বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণ, অ-সুস্থদের নিজ অর্থে চিকিৎসার ব্যবস্থা, স্যানেটারি ল্যাট্রিন, টিউবয়েল, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অ-সহায় মানুষের মাঝে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন তিনি।
২০০৩ সালে দেশে মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় ছিলো। সে সময় দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ বাড়ির আশপাশে,পুকুর পাড় এমনকি খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করতো। এমনি একটি প্রত্যান্ত এলাকা ছিল ভারতীয় সীমান্তবর্তী জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। যেখানে ১৫ ভাগ বাড়িতেও ছিল না স্যানিটারি-ব্যবস্থা, ছিল না বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য টিউবওয়েল। বিষয়টি নজড়ে আসে সমাজ সেবক নুর মোহাম্মদের। তার উদ্যোগে এলাকার যেসব বাড়িতে স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই এমন ৩৬ হাজার বাড়ি চিহ্নিত করা হয়।
পরবর্তীতে নিজস্ব অর্থায়নে ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে স্যানিটেশন বিপ্লব গড়ে তোলেন তিনি। বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে নিজের টাকায় ৩৬ হাজার স্যানেটারি ল্যাট্রিন ও ১৪ হাজার টিউবওয়েল বিতরণ করেন তিনি।
২০০৬ সালে তিনি উপজেলার প্রায় দেড় লাখ পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করেন এবং গাছ পরিচর্যার জন্য নগদ অর্থ দেন। নিজের কর্মী বাহিনী দিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গাছের চারা রোপন করে দেন তিনি।
বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে সবাই যখন ঘরবন্ধী ছিল তখন নূর মোহাম্মদ নিজস্ব অর্থায়নে ৭৫ লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
অসচ্ছল প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করেন তিনি। মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ এমন কোন্ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে নুর মোহাম্মদের অনুদান নেই।
গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে ৫০ লাখ টাকার সার বীজ দিয়েছেন সমাজসেবক নূর মোহাম্মদ।
শীতের সময় হাজার হাজার পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া তিনি বিভিন্ন স্কুল মাদরাসার জন্য জমি দান নিজের অর্থে রাস্তাঘাট তৈরী করে বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মানুষের কাছে নুর মোহাম্মদ এক মানবতার নাম।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।