রাজশাহী থেকে ফিরে আর.আ সাহান : দেশে উচ্চ রক্তচাপের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ মোকাবেলায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে ওষুধ নিশ্চিত করতে সরকার সম্প্রতি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এই রোগের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে দাবি জানান সাংবাদিক কর্মশালার বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা (১০-৩) টা পর্যন্ত রাজশাহীর হোটেল ওরিসানে "বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ" শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এই তথ্য ও সুপারিশগুলি উপস্থাপন করা হয়৷
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (GHAI) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রগ্রেস) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার ২২ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই রোগে আক্রান্ত অর্ধেক রোগী জানেন না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের এই উদ্বেগজনক প্রকোপ মোকাবেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ওষুধের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলায় শুরু হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহের কার্যক্রম সারা দেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে ১৮২ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নার থেকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এক মাসের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে রোগীদের একবারে দুই থেকে তিন মাসের ওষুধ দিলে এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা গেলে স্বল্প খরচে অনেকের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বক্তাদের ধারণা।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবির, রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. শামীম জুবায়ের এবং বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার এহসানুল আমিন ইমান এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।