[১৪৯১] কাজিপুর থানা পুলিশের অভিযানে চারমাসে উনিশ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

S M Ashraful Azom
0

 : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উনিশটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। 

কাজিপুর থানা পুলিশের অভিযানে চারমাসে উনিশ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার



এরমধ্যে প্রকৃত মালিককে খুঁেজ বের করে আদালতের মাধ্যমে দশটি মোটরসাইকেল প্রদান করে  প্রসংশা কুড়িয়েছে। 

গত জুলাই মাস থেকে এই অভিযানে উদ্ধারকৃত প্রতিটি মোটরসাইকেলের মূল্য দেড় থেকে আড়াই লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন এর প্রকৃত মালিকগণ।  

মঙ্গলবার বিকেলে হারিয়ে যাওয়া দুটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেয় কাজিপুর থানা পুলিশ।  এরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার  মসজিদের ইমাম শরিফুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চান্ডালবয়রা গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম। 

 কাজিপুর থানাসূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে  ১১০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি বাজাজ ডিসকভার, আরটিআর, ফেস, এফজেড, পালসার, এ্যাপাচি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এসময় বেশ কয়েকজন চোরকে ধরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে তারা। এরমধ্যে গাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ও চ্যাচিস নম্বর মিলিয়ে দেখে বিআরটিএ তে ফোন করে প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে থানা পুলিশ। এরপর আদালতের মধ্যে সঠিক কাগজপত্র দেখিয়ে দশটি মোটরসাইকেলের মালিককে সনাক্ত করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক পর্যন্ত নয়টি মোটরসাইকেল প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেয় তারা। এভাবে একের পর এক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কাজিপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সর্বশেষ বাজাজ ডিসকভার গাড়ির মালিক শরিফুল ইসলামের হাতে হারানো গাড়ির চাবি তুলে দেন। এসময় গাড়ি ফিরে পেয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান এই ইমাম সাহেব। তিনি বলেন, গাড়ি কেনার দশদিনের মাথায় মসজিদের বারান্দা থেকে আমার গাড়িটি চুরি হয়ে যায়। পরে থানায় একটি ডায়েরি করে রেখেছিলাম। কখনো ভাবিনি থানা পুলিশ গাড়ি উদ্ধার করে আমাকে ফেরত দেবে। আজ গাড়িটি ফেরেত পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ কাজিপুর থানার মানবিক পুলিশ টিমকে। এসময় নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান গাড়ি ফেরত পাওয়া ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম। তিনি জানান পুলিশ যখন ফোন করে জানিয়েছেন আপনার মোটরসাইকেল  আমরা উদ্ধার করেছি তখন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আজ সেই অবিশ্বাস্য স্বপ্নই সত্যি হলো। আমার হারানো মোটরবাইকটি ফিরে পেলাম। 

 

এর আগে কাজিপুর থানা পুলিশের নিকট থেকে  হারানো মোটরবাইক  বুঝে নিয়ে গেছেন বগুড়া জেলা নন্দিগ্রাম উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন, জামিলনগরের আব্দুল মন্নাফ,  শাজাহানপুর উপজেলার মিজানুর রহমান, নাটোর জেলার সদর উপজেলার আয়নাল হক আরিফ,  সাইদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার হাবিবুর রহমান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মাসুদুজ্জামান। আরও একটি মোটরবাইকেল মালিকের সন্ধান পেয়েছেন জানিয়ে কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কুমার দত্ত জানান, চোরাই মোটরসাইকেলসহ আমরা একজনকে আটক করি। তার দেয়া তথ্যমতে আরও কয়েকটি গাড়ি উদ্ধার করি। এভাবে গত চারমাসে উনিশটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত মালিককে হারানো গাড়ি ফেরত দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। মোটরবাইকগৃুলোর বাকি মালিকদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top