শফিকুল ইসলাম : ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকটে রৌমারী-চিলমারী নৌ-পথে ৩দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহি পরিবহন, শ্রমিক ও যাত্রীরা।
এছাড়া রমনাঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল। এ নৌ-পথে পারাপারের অপেক্ষায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পণ্যবাহী পরিবহন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রহ্মপুত্রে নদে নাব্যতা সংকটের কারনে ‘বেগম সুফিয়া কামাল’ নামের ফেরিটি গত রবিবার সকাল ছয়টার দিকে রমনা ঘাট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে ফেরি কুঞ্জলতা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্রে নদের খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের সাথে সারাদেশের নৌ-পথে যোগাযোগ বাড়ানো ও চিলমারী নৌ-বন্দরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু ও বন্দরের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে দুটি ফেরিতে পণ্যবাহী সহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহণ পারাপার করে আসছে। প্রতি টিপে ফেরি কুঞ্চলতা-৯টি এবং বেগম সুফিয়া কামাল -১২-১৩টি পণ্যবাহি গাড়ি পারপার করতে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হঠাৎ কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট দেখা দেয়। এতে বাধ্য হয়ে ফেরি দুটির পারাপার ববন্ধ হয়। ফলে ফেরি ঘাট এলাকায় রাস্তায় সারিবদ্দভাবে পরিবহন দাড়িয়ে থাকার ফেরি পার হতে পরিবহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয় ৪ থেকে ৫দিন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খোজ নিয়ে জানা যায় রমনা ঘাট থেকে ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামালকে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপর ফেরি কুঞ্জলতা নামের ফেরিটিও চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা।
অভিযোগ উঠেছে, কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও গাফিলতির কারনে একমাস দশদিনের মাথায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিআইডবিউটিসির বাণিজ্য ব্যবস্থাপক প্রফুল চৌহান বলেন, ‘নাব্যতা সংকট ও রৌমারী ফেরিঘাটের র্যাম ডেবে যাওয়ার কারনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল এর পরিবর্তে আসছে ফেরি কদম।
ফেরি কুঞ্জলতা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, রৌমারী ফেরিঘাট ডেবে যাওয়ার কারনে শনিবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ঘাট মেরামতের কাজ করা হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।