[১৫১৮] জানেন না গ্রাহক, ঘাড়ে তাদের লাখ লাখ টাকা ঋনের বোঝা

S M Ashraful Azom
0

 : সংসারে স্বচ্ছলতা আনার জন্যে ক্ষুদ্র ব্যবসা দাঁড় করাতে ঋণ পাইয়ে দেবার প্রস্তাবে রাজী হন তারা। এরপর কথামতো নানা ফরমে তাদের নিকট থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়।

জানেন না গ্রাহক, ঘাড়ে তাদের লাখ লাখ টাকা ঋনের বোঝা



কিন্তু দিনের দিন কেটে গেলেও তাদের ভাগ্যে সেই ঋণ মেলেনি। অথচ ঘটনার তিন বছর পরে তাদের নামে ব্যাংক থেকে নোটিশ আসে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে। ঋণ গ্রহণ না করেই তা পরিশোধের এমন নোটিশ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ছালাভরা, কুনকুনিয়া গ্রামের ১৬ জন খেটে খাওয়া মানুষ। তারা কেউ ভ্যান চালক, ফেরিওয়ালা, দিনমজুর কেউবা অন্যের সংসারে ফাইফরমাস খাটা মানুষ। ঋনের বিষয়টির সুরাহার জন্যে তখন থেকেই তারা নানা জায়গায় ঘুরছেন। অবশেষে প্রতিকারের আশায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনে দরখাস্ত দিয়েছেন ভুক্তভোগি ছালাভরা গ্রামের আলতাফ হোসেন ।  


 দুর্নীতি দমন কমিশনে দেয়া দরখাস্ত ও স্থানীয়সূত্রে  জানা গেছে,  উপজেলার ছালাভরা গ্রামের  আলতাফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আমির হোসেন, হেলাল, আমজাদ, মিনু, রাবেয়া, ফেরদৌসি, আঞ্জুয়ারা, হাসনা, কুকিলা, শিরিনা, নাসিমা বেগমসহ মোট ১৬ জনের নিকট থেকে পশুপালনের জন্যে প্রত্যেকতে পঞ্চাশ হাজার করে টাকা ঋন পাইয়ে দেবার প্রস্তাব দেন  শরিফুল ও সোহেল। এই আপন দুই ভাই এই গ্রামের মতিউর রহমানের পুত্র।  এই দুজনের সাথে ভুক্তভোগীদের আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। ফলে তাদের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেন তারা।  এরপর ১০১৪ সালে তারা কাজিপুরের উত্তরা ব্যাংক, শুভগাছা শাখা থেকে নানা ধরণের ফরম এনে ১৬ জনের নিকট থেকে সই নেয়। এরপর কয়েকমাস কেটে যায়।  টাকা না পাওয়া বিষয়ে জানএিত চাইলে শরিফ ও সোহেল তাদের জানায় কোন কারণে ঋন প্রস্তাব পাশ হয়নি। তখন ভুক্তভোগীরা ঋণের আশা ছেড়ে দেন। কিন্তু তিন বছর পর ১০১৭ সালে উত্তরা ব্যাংকের শুভগাছা শাখা থেকে ওই ১৬ জনের নামে ঋন পরিশোধের চিটি ইস্যু করা হয়। তখন নড়েচড়ে বসেন তারা। যোগাযোগ করেন তৎকালিন  ব্যাংকটির  শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম রহমানের সাথে। তখন তিনি ওই ঋনের গ্যারান্টার শরিফ ও সোহেলের  সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।   

ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন জানান, বারবার ওই ম্যানেজার বলেন  কাগজপত্রে আপনারা ঋন নিয়েছেন। তাই পরিশোধ করতে হবে।  সর্বশেষ ২০২২ সালে ব্যাংকের ওই শাখা থেকে আবারো ঋন পরিশোধের জন্যে ওই ১৬ জনকে তাগাদা দিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। তখনই আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিকার চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। 

 এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শরিফও ও সোহেল এখন বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় স্থায়ীভাবে বাস করছেন। নিজেদের নামে নেয়া ঋণ খেলাপির দায়ে ইতোমধ্যে কাজিপুরের উত্তরা ব্যাংক শুভগাছা শাখা  তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

 এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উত্তরা ব্যাংক শুভগাছা শাখার ব্যবস্থাপক ইমাম হোসেন বলেন, ওই ১৬ জন সবাই ঋন গ্রহণ করেছেন।  আমাদের নিকট এ সংক্রন্ত কাগজপত্র রয়েছে। তাদের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি আরও জানান,  বিষয়টি নিয়ে একাধিক তদন্ত হয়েছে। 

 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top