[১৩৫৮] উল্লাপাড়ায় হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায়, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী-পথচারী

S M Ashraful Azom
0

 : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরশহরের শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কেয়া হাসপাতালের ল্যান্টিনের ট্যাংকির মল ও বর্জ্য প্রতিনিয়ত রাস্তা দিয়ে গড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করতে গেলে প্রতিবেশিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।

উল্লাপাড়ায় হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায়, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী-পথচারী



এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর প্রতিবেশিরা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।



সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে বিল্ডিংয়ের বাইরে রাস্তা সংলগ্ন জায়গায় ল্যান্টিনের ট্যাংকি বসিয়ে ব্যবহার করে আসছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ট্যাংকি থেকে মল ও বর্জ্য মাঝেমধ্যেই রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। এ নিয়ে প্রতিবেশিরা বার বার হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অভিযোগ করলে কানে তোলেনি তারা। গত সোমবার বিকেলে প্রতিবেশি জিয়াউর রহমানের ছেলের মুসলমানি অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে দাওয়াতি লোকজন খাওয়া-দাওয়ার সময় হাসপাতালের ল্যান্টিনের ট্যাংকি ভেঙে মল ও বর্জ্য রাস্তায় গড়িয়ে এলে দুর্গন্ধে মানুষ খাবার রেখে চলে যায়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবেশি ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা পরে ধস্তাধস্তি বেধেঁ যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৪ ব্যক্তি আহত হয়। 


ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান ও প্রতিবেশি একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কেয়া হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম একজন দুশ্চরিত্র ও প্রতারক। তার তত্ত্বাবধানে তার বউকে দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের অনৈতিকভাবে এ্যাবোসন করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গরীব ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার কথা বলে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে এই প্রতারক। হাসপাতালে নার্স ও অন্য সকল পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে সুন্দরী মেয়েদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা ও লুন্ঠন করে নিচ্ছে তাদের ইজ্জত। তার এই অবৈধ টাকার গরমে ও সমাজের প্রভাবশালীদের দাপটে ধরাকে সড়া জ্ঞান করে বসেছে এই পরিচালক মাহবুব। 


কেয়া হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম জানান, ভাড়াটিয়া বিল্ডিংয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করি। কোন কাজ করতে গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়া সম্ভব হয় না। তাই ল্যাটিন মেরামত করতে  সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।


উল্লাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা: মোঃ আতাউল গণি ওসমানি কোমল জানান, কেয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top