শফিকুল ইসলাম : রৌমারীতে রাস্তা পাকা করণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি। শনিবার সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল সীমান্ত এলাকা রৌমারী সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের গাফলতির কারনে রাস্তাটিতে মাটি ভরাটের কিছুটা কাজ শেষ করেই বন্ধ রাখে। এনিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকটনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হলে প্রশাসনের টনকনড়ে এবং চলতি মাসে পূনরায় পাকা করনের কাজ শুরু করেন। গত কয়েকদিন থেকে তড়িঘড়ি করে নামকাওয়াস্তে বিটুমিন ছাড়াই কার্পেটিং ও সিলকোডের কাজ করতে থাকেন। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের ওয়ার্কএসিস্টেন হারুনর রশিদ এর উপস্থিত থেকেই রাস্তার কাজের অনিয়ম করা হচ্ছে। এনিয়ে এলাকাবাসি বাধা দিলেও তাদের কথা নেওয়া হয়নি। ফলে কার্পেটিং ও সিলকোড সম্পর্ণ ভেসে উঠে এবং বৃষ্টির সাথে ওই কার্পেটিং ভেসে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের শেষের দিকে উপজেলার চর নতুনবন্দর স্থলবন্দর তুরা রাস্তা হতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে খাটিয়ামারী কাদেরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা মাটি ভরাট ও পাকা করনের জন্য ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা টেন্ডারের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের মেসার্স সাকিব ট্রেডার্স উক্ত কাজটি পায়।
মেসার্স সাকিব ট্রেডার্স’র মালিক প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার প্রোঃ মো.আহসানুল লিটন স্থানীয় সাইদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাস্তাটির কাজ আবারো শুরু করেন। রাস্তাটির তিন স্থানে গাইড ওয়াল দেওয়ার কথা থাকলেও ড্রাম দিয়ে গাইডওয়াল দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের নওশেদ আলী বলেন, ওয়ার্ক এসিস্টেন হারুনর রশিদের উপস্থিতিতে রাস্তার উপর দিয়ে ছোট পাথর ফেলানোর কয়েক দিনের মাথায় ওই পাথরগুলো আলগা হচ্ছে। হাত দিয়ে সব পাথর জড়ানো যায়। এরকম কাজ করলে রাস্তাটি টিকবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা জবেদ আলী বলেন, রাস্তার কাজ এত খারাপ করছে এর আগে কোথাও দেখি নাই। ঠিকাদার সাইদুর ও প্রকৌশলী অফিসের হারুন নামের লোকটিকে কাজের ব্যাপারে বলতে গেলে তারা আমার উপর রেগে যায় এবং আমাকে হুমকি ধামকি দেয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফ ঠিকাদার সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তার পাকা করনের কাজ চলমান রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে সেটা ঠিক করে দিবো।
উপজেলা ওয়ার্কএসিস্টেন হারুনর রশিদ জানান, আমি কাওকে হুমকি দেইনাই। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে, তবে সিলকোডের কিছু কাজ বাকি রয়েছে এবং সেটা দ্রæত ঠিক করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মামনুর রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলাম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কাজ যদি নি¤œমানের হয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।