বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নে সন্ত্রসী কায়দায় হাতুড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি দ্বারা বসতভিটার সীমানা দেওয়াল ভেঙে জোরপূর্বক জায়গা দখল ও হত্যার উদ্দেশ্যে ধাঁরালো কিরিচ দিয়ে প্রবাসী মো. ইলিয়াছের স্ত্রীকে আঘাত ও গুরুতর জখম করার অপরাধে ৪ জনকে আসামী অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় এজহারনামীয় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলহাজতে পাঠিয়েছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন একই উপজেলার সাহাব উদ্দিন (৩৮) ও আজিজুল হক (২৫)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আনছুর আলী মিয়াজী পাড়ার প্রবাসী মো. ইলিয়াসের সাথে তার অপর ভাই সাহাব উদ্দিনের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় প্রবাসী ইলিয়াস ও তার পরিবারকে হামলা মামলার হুমকি দেয় সাহাব উদ্দিন। পরে ইলিয়াস প্রবাস থেকে এসে গত ২২ মে ২৩ খ্রি, হামলার আশংকায় বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ঘটনার প্রধান আসামী সাহাব উদ্দিন বিদেশ থেকে এসে ১৩ সেপ্টেম্বর'২৩ খ্রি রাতে ইলিয়াছের বাড়ীর সীমানা দেওয়া ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিলে তার স্ত্রী রুজিনা ৯৯৯ এ ফোন করে বাঁশখালী থানা থেকে পুলিশ নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনরকম অশান্তি সৃষ্টি না করার জন্য বলে আসেন।
মামলার বাদী রুজিনা বেগম বলেন, পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে সাহাব উদ্দিনসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে হাতুড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি দিয়ে বাড়ির দেওয়াল ভাংচুর করলে ৯৯৯ এ আবারও ফোন করে পুলিশ ঘটনাস্থে পৌছানোর আগে আসামীগণ প্রবাসী ইলিয়াছের স্ত্রীকে দু'পায়ে কোপ মারে ও বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের ইটের টুকরে ছুঁড়ে পিঠে ও রানে গুরুতর আঘাত করে। এ ঘটনায় আমরা বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবাগ্রহণ করি। আমার উভয় পায়ে ৮ টি সেলাই করা হয়।
বাঁশখালী থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন- 'বসতভিটার জায়গার বিরোধ নিয়ে হামলার ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী রুজিনা বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এক ও দুই নম্বর আসামীকে গ্রেপ্তারপূর্বক জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।