জি এম ক্যাপ্টন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে সদ্য বিবাহিত তরুণীসহ একদিনে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে একজন সদ্য বিবাহিত তরুণী এবং অপরজন নেশাগ্রস্ত যুবক। যুবকটিকে একটি পানি ভর্তি কৃষি জমির মধ্যে পাওয়া যায় এবং তরুণীটিকে বিছানার মধ্যে ছুরিকাঘাতে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
রবিরার (১৩আগস্ট) ঘটনাদুটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকায় এবং উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে এনজিও কর্মী রেজাউল ইসলামের মেয়ে রিংকী বেগম’র (১৮) ৫ মাস পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মাঝবিল এলাকায়। তার স্বামী চট্রগ্রামে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে কর্মরত আছেন। গত ৪দিন পূর্বে স্বামীর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসে রিংকী। শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে বাবা রেজাউল ইসলাম রাগ করে তার কর্মস্থল লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে চলে যান। মা’ও রাগ করে রিংকীর নানা বাড়ীতে চলে যায়। রাতে একাই ঘরে শুয়ে ছিল রিংকী। সকালে তাকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে বিছানার মধ্যে ছুরিকাঘাতে গলাকাটা লাশ দেখতে পান স্বজনরা। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে রিংকীর মরদেহ সুরৎহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পান্ডুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মতুর্জা জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার ভেলাকোপা গ্রামে লিংকন হোসেন (২০) নামে এক মাদকসেবীর মরদেহ কৃষি জমিতে ডুবন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সে ওই এলাকার মৃত: সেকেন্দার আলীর পূত্র।
স্থানীয় কাউন্সিলর জমসেদ আলী টুনকু জানান, রবিবার সকালে কৃষি জমিতে তার মাথা ডুবন্ত অবস্থায় ছিল এবং বাকী শরীর পরে ছিল জমির আইলের মধ্যে। রাতে অতিরিক্ত মাদকসেবন করে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় কৃষি জমির পানিতে পরে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবার থেকে কোন অভিযোগ করা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইদ সরকার জানান, মরদেহের পাশে মাদকসেবনের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এ ঘটনার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।